ছবি : চকরিয়ায় ইলিশিয়া বাজারের চলছে কোরবানীর পশু বেচা কেনার ধুম।

চকরিয়া প্রতিনিধি :

আগামী ২২আগস্ট মুসলামানদের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভার অন্তত ২৫টি ছোট-বড় পশুর হাট শেষ মুর্হুতে এসে জমে উঠেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন পশুর হাটে এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের পছন্দের গরু মহিষ ছাগলসহ বিভিন্ন কোরবানীর পশু। তবে এসব ক্রেতাদের কাছে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদাই বেশী বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

গতকাল রবিবার উপজেলার বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে বাজার ইজারাদার ও ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগে থেকে কোরবানীর পশুর বাজার শুরু হলেও বেচাকেনা জমজমাট পরিলক্ষিত হচ্ছে গত দু’দিন ধরে। তবে এবারও মায়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ কোরবানি পশু ঢুকে পড়ায় ঈদ বাজার বেশ মন্দা যাচ্ছে। বরাবরের মতো এবারও চকরিয়া উপজেলার ২৫টি ছোট-বড় পশুর হাটের ক্রেতাদের কাছে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদাই বেশী বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

চকরিয়া উপজেলার অন্যতম প্রধান পশুর হাট ইলিশিয়া বাজারের তত্তাবধায়ক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, আমাদের বাজারে সারা বছরই পশু বেচাকেনা চলে। তবে কোরবানি ঈদেই বিপুল পরিমাণ কোরবানীর পশু বিক্রি হয়। এবছরও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। তবে এ বছর বড় ও মাঝারি সাইজের চেয়ে ছোট পশুর দাম বেশি। ফলে ক্রেতারা জোটবদ্ধ হয়ে বড় ও মাঝারি সাইজের কোরবানীর পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া চকরিয়া পৌর এলাকার ঘনশ্যাম বাজার, মগবাজার কমিউনিটি সেন্টার মাঠ, বাসটার্মিনাল বাজার উপজেলার বদরখালী বাজার, ডুলাহাজারা বাজার, খুটাখালী বাজার, বরইতলী গরুর (একতা) বাজার, হারবাং বাজার, কৈয়ারবিল বাজার, পহরচান্দা বাজার, শান্তির বাজার, ভেন্ডিবাজার, বেতুয়া বাজার, জিদ্দা বাজার, ছিকলঘাট বাজার, মানিকপুর বাজার ও মাঝেরপাড়ি বাজারসহ ছোট-বড় অন্তত ২৫টি হাট-বাজারে কোরবানির পশু বেচাকেনা চলছে।

এদিকে এসব হাট বাজারে কোরবানি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের একটি টিম সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডা.ফেরদৌসী আক্তারের নেতৃত্বে একটি টিম বাজার ঘুরে ঘুরে কোরবানি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। অন্যদিকে প্রতি বছরের মতো এবছরও বাজারে জালনোটের লেনদেন ঠেকাতে সোনালী ব্যাংক চিরিঙ্গা শাখার উদ্যোগে জাল টাকা সনাক্ত করণ মেশিন নিয়ে একটি টিম কাছ করছেন। ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মাইকিং করে পশু বিক্রিকালে টাকা গুলো মেশিনে ঢুকিয়ে সনাক্ত করে দিচ্ছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উপজেলার কোরবানি বাজারে পশু বেচাকেনা নির্ভিগ্নে করতে থানা পুলিশের একাধিক টিম বাজারে বাজারে কাজ করছেন। উপজেলার কোথাও না কোথাও প্রতিদিন বসা পশুর হাট গুলোতে পুলিশ সদস্যরা ঘুরে ঘুরে টহল দিচ্ছেন নিরাপত্তার স্বার্থে।