শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার জেলাজুড়ে কোরবানির পশুর হাটে কেনাবেচা শুরু হয়েছে। তবে গতকাল শনিবার পর্যন্ত কোথাও জমে উঠেনি বাজার। বিক্রেতারা বাজারে পশু জমায়েত করলেও দেখেই গেছেন ক্রেতারা। তবে কেউ কেউ দরে-দামের ‘সুবিধা’ হওয়ায় কিনে নিচ্ছে প্রিয় কোরবানির পশুটি। যা বিক্রি হচ্ছে তাতে প্রায়ই গরু। আজ রোববার থেকে বিক্রি বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। জেলার বিভিন্ন কোরবানির হাটে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য জানা গেছে।

জেলা প্রশাসন সূতে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার আট উপজেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫৩ টি কোরবানি পশুর বাজার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় বাজার চালু হয়ে গেছে। তবে গতকাল পর্যন্ত এখনো বিক্রি জমে উঠেনি। আজ রোববার থেকে পশুর বাজারে বেচাকেনা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য মতে, কক্সবাজার জেলার আট উপজেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫৩টি কোরবানির পশুর হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৭টি, রামুতে ৬টি, চকরিয়ায় ১১ টি, পেকুয়ায় ৪টি, উখিয়ায় ৬টি টেকনাফে ৭টি, মহেশখালীতে ৯টি ও কুতুবদিয়ায় ৭টি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরবানির দিন ঘনিয়ে এলেও অধিকাংশ বাজারে বিক্রি সে হারে বাড়েনি। তবে কক্সবাজার সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট খরুলিয়া বাজার, টেকনাফ পৌর পশুর বাজার, টেকনাফ পাইলট হাইস্কুলের মাঠের কোরবানির পশুর বাজার, ইলিশিয়া পশুর বাজার, ঈদগাঁও কোরনানি পশুর বাজারে তুলনামূলকভাবে বিক্রি হয়েছে। এসব বাজারে পাইকারী হারেও বিক্রি হচ্ছে গরু। এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার একমাত্র কোরবানির পশুর বাজার খুরুশ্কুল রাস্তার মাথার বাজারটি। এই বাজারে গতকাল থেকে গরু উঠতে শুরু করেছে। তবে তেমন বিক্রি হয়নি।

এই বাজারের ব্যবসায়ী আজিজুল হক জানান, খুরুশ্কুল রাস্তার মাথার বাজারে প্রথম দিনেই আশানুরূপ পশু উঠেছে। তবে সে হারে বিক্রি হয়নি। তবে অনেক ক্রেতা ঘুরে ঘুরে বাজার পরিস্থিতি দেখছেন। কেউ কেউ আবার দর-দাম কষাকষিও করছেন। এই বাজারেও আজ রোববার থেকে বেচা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

টেকনাফের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট টেকনাফ পাইলট হাইস্কুলের মাঠ। শুক্রবার এই বাজারটিতে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়। এই বাজারে স্থানীয় পশুর পাশাপাশি মিয়ানমারের গরুর আধিপত্য বেশি দেখা যাচ্ছে। শুরুতে থেকেই জমজমাট বাজারটি। তবে ক্রেতার সমাগম বেশি হলেও এখনো তেমন বিক্রি হয়নি। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন আজ রোববার থেকে বিক্রির ধুম পড়বে।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৪ হাজার। প্রায় ২ হাজার ১৪ জন খামারী বাজারে কোরবানি পশু তুলবে। এবার পশু সংকট পড়ার কোন আশঙ্কা নেই। এর ফলে মিয়ানমার থেকে আমদানী পশুর প্রতি নির্ভরতা কমে যাবে।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বাজারে কোরবানি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ২০ টি মেডিকেল টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এছাড়া কোরবানির বাজার গুলো পুলিশের পক্ষ থেকে জালনোট সনাক্ত করতে মেশিন বসানো হয়েছে।’

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহিদুর রহমান বলেন, ‘পশুর বাজার গুলোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদে পশু বেচা-কেনা করতে পারবেন।’