পেকুয়া সংবাদদাতা:

কক্সবাজার জেলার আওতাভুক্ত জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামীলীগের সমস্ত ইউনিট ঐক্যবদ্ধ। যার প্রমাণ বিগত কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়। অতীত ও বর্তমানের সকল চক্রান্তকে পাশ কাটিয়ে পেকুয়ার আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠন শহিরদুল্লাহ ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। যার প্রমাণ শোক দিবসের আলোচনা সভায় হাজার হাজার জনতার উপস্থিতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে আ’লীগের নামধারী কাউয়ারা সক্রিয় রয়েছে। ইনশালাহ প্রকৃত আ’লীগ জেগে ওঠেছে কাউয়া আ’লীগের স্থান আর হবেনা।

খন্দকার মোস্তাক আর মীর জাফরেরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও পুরো পরিবারকে হত্যা করলেও সেদিন উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনা আর শেখ রেহেনা বেঁচে যান। বর্তমানেও খুনিদের অনুসারীরা প্রতি পদে পদে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত ও খুনের চক্রান্তে মেতে থাকলেও জননেত্রী শেখ হাসিনা তা শক্তহাতে মোকাবেলা করছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা সমস্ত চক্রান্তকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলায় উন্নয়নের রুল মডেল হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পেকুয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে। উপজেলার বিশাল বিশাল উন্নয়নের পাশাপাশি পেকুয়া বাজারের দীর্ঘদিনের দুঃখ লাগবে পিচ ঢালাই দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। যা একশ বছরেও কিছু হবেনা। উন্নয়নকে আরো বেশি বেগবান করতে পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করা হবে। বর্তমানে শহিদ আর জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (১৮আগস্ট) দুপুর ২টায় পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, পেকুয়ার আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের অত্যান্ত প্রিয় নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারকে চক্রান্ত করে জেলে পাটিয়েছিল চক্রান্তকারীরা। কিন্তু তাকে দমাতে পারেনি। আ’লীগ নামধারী সন্ত্রাসী একজন নেতার অনুসারী হয়ে পেকুয়া আ’লীগকে শেষ করে দিচ্ছে গুড়িকয়েকজন। আগামীতে জেলা আ’লীগ তা শক্তহাতে মোকাবেলা করবে। সন্ত্রাসী, দখলবাজি আর অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন সন্ত্রাসীকে নমিনেশন দিবেন না। আপনারা নির্ভয়ে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যান।

পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি শোক দিবস পালন কমিটির চেয়ারম্যান এম শহিদুলাহর সভাপতির স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য শোক দিবস পালন কমিটির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনা আলোচনা সভায় পবিত্র কোরান তেলোয়াত করেন মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা কহিনুর ইসলাম।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা আ’লীগের সহসভাপতি এড. আমজাদ হোসেন, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, জেলা আ’লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম।

বিশেষ বক্তার বক্তব্য দেন, জেলা আ’লীগ নেতা এড. কামাল হোসেন, মোঃ হোছাইন বিএ, জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, পেকুয়া উপেজলা আ’লীগ নেতা বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা আ’লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদী, জামাল উদ্দিন জয়নাল, পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ নেতা নুরুল আজিম চৌধুরী, মফিজুর রহমান, কাজিউল ইনসান, আজম খান, মাশুক আহমদ, ঁজাহাঙ্গীর সাত্তার, মাষ্টার হানিফ চৌধুরী, মাষ্টার শাহলম, শ্রমিকলীগ নেতা নুরুল আবছার, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহাদত হোসেন, যুবলীগ নেতা মোঃ সেলিম, পেকুয়া বাজার সমিতির সেক্রেটারী মিনহাজ উদ্দিন, ওলামালীগ নেতা শফিকুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ছোটন ও ফারুক আজাদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, টইটং ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম মুন্সি, বারবাকিয়ার সভাপতি আবুল শামা, আ’লীগ নেতা আবুল শামা শামীম, নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, নেজাত মাহমুদ, আবু তালেব, মো: ইউনুছ চেয়ারম্যান, মাষ্টার শাহলম, বেলাল উদ্দিন বিএসসি, আহমুদুর রহমান, আবদুল ওদুদ, ওলামালীগ নেতা ইউনুচ কাদেরী, জমির মুন্সি, আব্বাছ উদ্দিন, ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ যুগ্ন সম্পাদক ওসমাণ সরওয়ার বাপ্পি, ৭ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সম্পাদক যথাক্রমে এনামুল হক, মো: বাচ্ছু মিয়া, শহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, শেখ ফরিদ, তুষার ইমরান, হেলাল উদ্দিন, আবুল কালাম, মিজবাহ উদ্দিন, রুকন উদ্দিন, আবদু রহিম, আনসারুল ইসলাম টিপু, যুবলীগ নেতা মো: আজম, রেজাউল করিম, আহমদ হোছাইন, জাফর আলম, হারুণুর রশিদ, ইলিয়াস সুমন, আজিজুর রহমান, ফরিদুল আলম, আনছার উদ্দিন, মো: শাহাজাহান, আলমগীর, ফয়সাল, মিরাজ ও শাকের উল্লাহসহ উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর আগে সকালে পবিত্র কোরানকানী, দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুসহ পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের প্রয়াত নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সর্বশেষ ৫হাজার দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে গণভোজের খাবার পরিবেশন করা হয়।