শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর একাধিক পয়েন্টে পাহাড় কাটা থামছেনা।সংশ্লিষ্টরা নিরব থাকায় কোন ভাবেই দমানো যাচ্ছে না নির্বিচারে পাহাড় নিধনযজ্ঞ। প্রতিনিয়ত বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড় ধসে একাধিক দূর্ঘটনা ঘটলেও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরী হচ্ছেনা। অপরদিকে নির্বিচারে পাহাড় কাটা রোধে কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছেনা। পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল। তবে স্থানীয়রা পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপায় প্রাণহানির মত দূর্ঘটনার আশংকাও করছেন। সম্প্রতি বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন এলাকায় সমতল ভূমির আকাশচুম্বি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারনে আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে তিগ্রস্থ উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিশাল অংশের পরিবেশগত উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া এবং নাফ-নদী দিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশসহ নানা কারনে পাহাড়ি ভূমিতে মানুষের বসবাসের প্রবণতা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ঘর তৈরীর লক্ষ্যে এসব কারনে বেড়েছে পাহাড় কাটার প্রতিযোগীতাও। বিগত দীর্ঘ সময় ধরে পাহাড় কাটার এই অশুভ প্রতিযোগিতা চলে আসলেও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিশাল এলাকার পাহাড় বেষ্টিত গ্রাম গুলোতে। পাহাড়ি ভূমির বিশাল অংশ প্রতিমুহুর্তে অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। ওইসব এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপন হচ্ছে নানা বসতি । এছাড়াও বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন স্থানে হরদম পাহাড় কাটা থেমে নেই। তদন্ত পূর্বক এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সচেতন মহলের মতে, এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলে পাহাড় একের পর এক সাবাড় হয়ে যাবে। যাতে করে পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। সরেজমিন ঈদগাঁও কালিরছড়া ভুতিয়া পাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে স্থানীয় মৃত ছৈয়দ আকবরের ছেলে তোফায়েল আহমদ ও নুরুল হুদার নেতৃত্বে বিশালাকার একটি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে আসছে।
পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।