সিবিএন:
প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক হাত-পা কর্তন করা মহেশখালী উপজেলার মাতরবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক যুবলীগের সভাপতি জিয়াবুল হক মারা গেছেন। বুধবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। আর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। তার ভাই ইউপি মেম্বার সরওয়ার কামাল মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, হাতে ও পায়ে কোপানোর কারণে মারাত্মক জখম হয় জিয়াবুলের। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়ে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্ত করা হচ্ছে।

তবে মৃত্যুর বিষয়টি রাত ১০ টা পর্যন্ত জানেন না বলে জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

ইউপি মেম্বার সরওয়ার কামাল অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী জিয়াবুল হক’র বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে চাঁদাদাবী করে আসছিল। এ ব্যাপারে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও হয়েছে। বিষয়টি মহেশখালী থানা ও মাতারবাড়ির পুলিশ ফাঁড়িকে কয়েক দফা অবহিত করা হয়। এর ধারবাহিকতায় বুধবার জিয়াবুল হক ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাংলা বাজার আসলে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শামসুল আলম, কাইচার হোসেনরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ডান হাত ও দুই পায়ে কুপিয়ে শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

তবে মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মাহমুদুল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জিয়াবুলের উপর হামলার সাথে আমার কোনো ধরণের সংশ্লিষ্ট নেই। আমি সারাদিন শোক দিবসের আলোচনায় অংশ নিতে উপজেলা সদরে ছিলাম। আসল ঘটনা হলো তার ভাই সরওয়ার মেম্বার ইউনিয়নের কাজে অনিময়-দুর্নীতিতে জড়িত। এই নিয়ে তার সাথে আমার পূর্ব শক্রতা রয়েছে। এর জের ধরে এ ঘটনায় আমাকে অভিযুক্ত করছে সরওয়ার মেম্বার । আমি দাবি জানাচ্ছি, প্রশাসন তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বের করুক।