প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেছেন, ১৫ আগষ্ট বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক দিন। এই দিনেই আমরা হারিয়েছি জাতির শ্রেষ্ট সন্তান হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ক্ষমতা দখল করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার সকল অর্জন ধ্বংস করে দেয়া এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করা।

তিনি আরো বলেন, বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্যই ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে টার্গেট করেছিল। তারা আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। ফলে তারা একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সার্বভৌম এবং প্রগতিশীল জাতি হিসেবে বাঙ্গালী জাতির উত্থান বাধাগ্রস্থ করতে ইতিহাসের এই নৃসংশ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। সেই বাঙ্গালী জাতি আজ জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে সেই বিশ্বাসঘাতকরা। ঢাকার ৩২নং সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি ছিল সকল আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। এ কারণে ঘাতকরা এই বাড়িতেই তাঁকে তাঁর স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ, নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং অন্যদের হত্যা করে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা মানে একজন ব্যক্তিকে হত্যা করা নয়, এটি ছিল একটি দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের অংশমাত্র। ঘাতকরা ১৯৭১ সালেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চেয়েছিল এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলাতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।

তিনি ১৫ আগস্ট  বেলা ১২টায় মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়মাী লীগের সভাপতি কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আনোয়ার পাশা চৌধুরী, সহকারি কমিশনার ভুমি মারুফ হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল আলম সাকিব। বক্তব্য রাখেন মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডাঃ নুরুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম আজিজুর রহমান, সহসভাপতি মাস্টার লিয়াকত আলী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডঃ আবু তালেব। সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজেদুল করিম, যুগ্ম আহবায়ক এডঃ শেখ কামাল ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু ছিদ্দিক।

সকাল ৮টায় আশেক উল্লাহ রফিক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সরকারি মহিলা কলেজ ও বড়মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শোক র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মানবভোজের আয়োজন করার হয় প্রায় ১০ হাজার মানুষের জন্য। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলমসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।