শংকর বড়ুয়া রুমি:
উখিয়ার রত্নাপালংয়ে গভীর রাতে বসতবাড়ীতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (১৫ আগস্ট) ইউনিয়নের মধ্যরত্না গ্রামের দীলিপ বড়ুয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানান থানার ওসি মো. আবুল খায়ের।

রত্মাপালং ইউনিয়নের মধ্যরত্না গ্রামের বাসিন্দা মৃত শ্রীমোহন বড়ুয়ার ছেলে লোকনাথ বড়ুয়া ওরফে নুনু মিস্ত্রীকে (৫৫) প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নামোল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয় বলে জানান তিনি।

থানায় দায়ের করা এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি আবুল খায়ের বলেন, গত ১৩ আগস্ট ভোর রাত ৩ টার দিকে মামলার প্রধান আসামী লোকনাথ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একদল দূর্বৃত্ত স্থানীয় নন বড়ুয়ার বসতবাড়ী দখলের উদ্দ্যেশে করে হামলা চালায়। হামলাকারিরা ঘুমন্ত অবস্থায় হামলা চালালে বাড়ীতে থাকা ৪/৫ জন আহত হয়। এসময় হামলাকারিরা লুটপাটও সংঘটিত করে। এ ঘটনায় আহতরা উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

” ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। ”

খায়ের বলেন, এ ঘটনায় আহত নন বড়ুয়ার ছেলে দীলিপ বড়ুয়া বাদী হয়ে গত ১৩ আগস্ট রাতে লোকনাথ বড়ুয়া ওরফে নুনু মিস্ত্রীকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

তিনি বলেন, ” পরে পুলিশ ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে তদন্তপূর্বক খোঁজ-খবর নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে এ মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে। ”

মামলার বাদী দীলিপ বড়ুয়া বলেন, আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ীটি জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও আসামী পক্ষের লোকজন অমান্য করে চলছিল।

তিনি বলেন, ” মামলার প্রধান আসামী লোকনাথ বড়ুয়াসহ বেশ কয়েকজন মাদক ও অন্য মামলায় এজাহারভূক্ত আসামী। গত বছর নভেম্বর মাসে লোকনাথ বড়ুয়া ও তার ভাই অনাথ বড়ুয়ার বাড়ীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু চোলাই মদ ও তৈরীর সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছিল। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে অনাথ বড়ুয়ার স্ত্রীকেও পুলিশ আটক করেছিল। ”
আসামীরা এলাকায় মদ ও ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসা চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে বলে অভিযোগ দীলিপ বড়ুয়ার।

পুলিশ ঘটনায় জড়িত এবং এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান ওসি খায়ের।