ডেস্ক নিউজ:

ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়বস্তু (কন্টেন্ট) বিশ্লেষণ ও আপত্তিকর কন্টেন্টের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিটিআরসিকে জানানোর জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ে একটি ইউনিট করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের এটি পরিকল্পনা আছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে আমরা ছোট্ট একটি ইউনিট করতে চাচ্ছি। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট বিশ্লেষণ করবো। যেন কোনো রকম গুজব, নেতিবাচক প্রচারণা, নারীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য, নারীর সম্মানহানিকর বক্তব্য, হেইট স্পিচ- এই কন্টেন্টগুলো যাতে যাচাই করে বিটিআরসিকে (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) জানিয়ে দিতে পারি যে, এই কন্টেন্টগুলো সত্য নয়, ভিত্তিহীন কিংবা মানহানিকর, নারীর জন্য অবমামনাকর।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয়টি আমাদের চিন্তার মধ্যে আছে, এটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। সময় তো আমাদের হাতে খুব কম, তারপরও। বিটিআরসি তো সারাক্ষণ এটা করতে পারবে না। এটা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ…অন্তত কন্টেন্টগুলো অ্যানালাইসিস করে বিটিআরসিকে জানানো।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে জানানো যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে এর গর্বিত অংশীদার তারা। এই আইডিয়াটিকে সামনে রেখে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা দু’টি কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এর একটি হচ্ছে- গণযোগাযোগ অধিদফতর থেকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এর মাধ্যমে শুধু জেলাতেই নয় ৪ হাজার ৫৫৪টি ইউনিয়নে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন ঘটেছে সেই উন্নয়ন বার্তা জনগণের সামনে পৌঁছে দেব।’

‘বাল্যবিবাহ নিরোধ, নারীর ক্ষমতায়ন এই বার্তাগুলো পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা একেবারে ইউনিয়নভিত্তিক কাজ শুরু করব। সেখানে পিকআপ ভ্যান থাকবে, টিভি স্ক্রিন থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা প্রচার কার্যক্রম করব।’

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় পরিকল্পনাটি হচ্ছে, শান্তি চুক্তির পর পার্বত্য এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে সেই বিষয়টি গণযোগাযোগ অধিদফতরের একটি সেলের মাধ্যমে টেলিটকের সঙ্গে চুক্তি করে বিশটিরও বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কাছে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে আমরা পৌঁছে দেব।’

প্রথম পর্যাযের পর মাদক নিয়ে তথ্য অভিযানের অংশ হিসেবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হয়ে কারাগারে যাবেন জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, ‘কয়েদিদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবো। একই সঙ্গে সেখানে টিভিসি ও মাদক গ্রহণের কুফল দেখাবো। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১২ সেপ্টেম্বর আমি কাশিমপুর কারাগারে নারী কয়েদিদের কাছে যাব। সেখানে মাদকের কুফল সম্পর্কে প্রচারণা চালাব।’

তিনি বলেন, ‘তৃতীয় পর্যায়ে আমরা মাদক বহনের শাস্তি সম্পর্কে সীমান্ত এলাকায় প্রচার করব।’