ডেস্ক নিউজ:
ঈদুল আজহার পর আত্মপ্রকাশ করছে বিএনপির নতুন নির্বাচনী জোট। প্রাথমিকভাবে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামে এই জোটের নাম ঠিক করা হয়েছে।

সোমবার রাতে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। রাত পৌনে ৮টায় শুরু হয়ে ওই সভা চলে প্রায় রাত ১০টা পর্যন্ত।

সভার বিষয়ে গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা না হলেও দলীয় সূত্র জানায়, ক্ষমতার বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন এবং নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে রাজপথে নামার পরিকল্পনারও বেশ অগ্রগতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিএনপির নতুন রাজনৈতিক জোটের নাম ঠিক করা হয়েছে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’। পাশপাশি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি, বর্তমান সঙ্কট নিরসনে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সংলাপ ও নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা কিছু খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

এছাড়াও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের তৃণমূল থেকে পাওয়া মতামতের ভিত্তিতে আগামী দিনের আন্দোলনের রূপরেখার একটি সার-সংক্ষেপ তৈরি করেছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে রাজপথে জোরালো আন্দোলনের রোডম্যাপের খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। ঈদের পর কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা করে তা দলের হাইকমান্ডের কাছে উপস্থাপন করা হবে। হাইকমান্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

জানা গেছে, সভার আলোচনার বিষয়াদির কপি লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হবে। রূপরেখার খসড়া নিয়ে কারাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের আগেই দেখা করবেন সিনিয়র নেতারা। সেই লক্ষ্যে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আগে ভাগেই আবেদন করে রেখেছেন নেতারা। সেখানে দলীয় সকল সিদ্ধান্তের বিষয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন তারা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ওই সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান অংশ নেন।