• শফিকুল ইসলাম

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইন গাওয়ার সময়– ”আমার সোনার বাংলাদেশ, আমি তোমায় ভালবাসি” এভাবে সংশোধন করে গাওয়া উচিত। কারণ এটি বাংলার জাতীয় সঙ্গীত নয়, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। বাংলা নামের কোন দেশ কি আদৌ বিদ্যমান আছে?

২। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ভারতীয় বাঙালী পশ্চিমবঙ্গের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত। বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ভারতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ববঙ্গবাসীদের তথা বর্তমান বাংলাদেশীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেয়ে লেখা প্রতিবাদ সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি….’ এই গানটির প্রথম দশ চরণ দুর্ভাগ্যবশতঃ এখন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।

৩। রবীন্দ্রনাথের কবিতাকে যখন জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা করা হয় তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে পৃথক সার্বভৌম রাষ্ট্র হয়েছে। তখন জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয় নাগরিক। ব্রিটেন ও আমেরিকা এ দুটি দেশের ভাষা ইংরেজী। তাই বলে তারা অপর দেশের কবির গীতিকবিতাকে জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা করেনি। এটা বাংলাদেশীদের হীনমন্যতাবোধ।

৪। তাছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত অত্যন্ত দুর্বল প্রকৃতির। ভাষা ও বক্তব্যে ওজস্বীতা বা তেজোদৃপ্ত নয়, যা শুনে মুহুর্তে মন-প্রাণ উজ্জিবীত হয়ে উঠে।

৫। জাতীয় সঙ্গীতের একটি লাইনে আছে, ”মা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি”– এটি শাশ্বত পৌরুষের অপমান। মায়ের চোখের কান্না দেখে গর্জে উঠা কিংবা বিক্ষোভে ফেটে পড়া উচিত।

লেখক : উপসচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়। কবি, গীতিকার ও ব্লগার।