রাশিদুল ইসলাম জুয়েল :
ট্রেন ও বাসের ছাদে যাত্রীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে চড়ছে! দেখার কেউ নেই! এখনো বাংলাদেশের মানুষ বাসের উপর ট্রেনের উপর উঠে দাড়িয়ে বসে দুর দুরান্তে ভ্রমণ করেন! মানুষ একটু তাড়াতাড়ি নিজ গন্তব্যে পৌছানোর জন্য জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়ত করছে। যাত্রীরাও বুঝে না, বাস ট্রেন কর্তৃপক্ষও কিছু বলেনা। বাস ও ট্রেনে ভ্রমণে সরকার নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা খুবই জরুরী। এভাবে ঝুকি নিয়ে সাধারণ যাত্রীরা যানবাহনে চড়া কতটা সমচীন!

ট্রাফিক আইনে পরির্বতন প্রয়োজন! যোগাযোগ অধিদপ্তর ও প্রশাসনকে এ নিয়ে কার্যকরী প্রদক্ষেপ নেয়া দরকার। নিরাপদ সড়ক ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রশাসনকেই কাজ করতে হবে। দেশ উন্নত হচ্ছে দেশের মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও দিন দিন মজবুত হচ্ছে অথচ এখনো আমরা এভাবে জীবনের ঝুকি নিয়েই ভ্রমণ করছি। এক্ষেত্রে যতোটা না যাত্রীরা দায়ী তার চেয়ে বেশী দায়ী জনপ্রশাসন বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। রেল এর মতো একটি গতিময় মাধ্যমে কিভাবে রেল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করেন এটা রেল কর্তৃপক্ষ ও সরকারের প্রশাসনের নজর দেয়া সময়ের দাবী।

দেশ ডিজিটাল হচ্ছে অথচ যাতায়তে প্রযুক্তিগত সেবার মান উন্নত করা হচ্ছে না। এখন থেকে বাস ও ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহন সর্ম্পূণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। এতে করে অনেক যাত্রী অসর্তকতার কারনে ও দ্রুতগতিতে যানবাহন চলার কারনে বাস ও ট্রেন থেকে ছিটকে পরে মৃত্যুবরণ করেন। সুতরাং কর্তৃপক্ষকে আইন করে পরিবহনের উপরে ছাদে যাত্রী উঠানো বন্ধের আহবান জানাচ্ছি। যদিও অনেকাংশে যাত্রীরাই দায়ী; কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকারের প্রশাসনকে নিরব থাকলে হবে না। নিরাপদ ভ্রমণ ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

লেখক: রাশিদুল ইসলাম জুয়েল, প্রবাসী সাংবাদিক ও লেখক।