গত ১১ জুন কক্সবাজার নিউজ ডটকমসহ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত “ঈদগাঁওয়ের শীর্ষ ইয়াবা সম্রাট ছৈয়দ আলম গ্রেফতার” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।সংবাদের একাংশে আমাকে জড়িয়ে যে গল্পকাহিনী সাঝানো হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক।মুল কথা হচ্ছে আমি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ঈদগাঁও বাজারে সুনামের সহিত পান-সুপারীর ব্যবসা করে আসছি।পাশাপাশি এলাকায় ছোটখাত সামাজিক অনুষ্ঠানে আর্থিক ও সার্বিক সহযোগীতা এবং সমাজ উন্নমুলক কর্মকান্ড করে আসছি।এলাকাবাসীর অনুরোধে গত ইউপি নির্বাচনে ফ্যান প্রতিক নিয়ে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচন করেছিলাম।সে থেকে একটি নির্বাচনী প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে। তারই ধারাবাহিকতায় এ মহলটি প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য দিয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছে।গত বছর আমার এক নিকট আত্বীয় বিদেশ থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে অবতরন করে।আমি সেদিন ঈদগাঁওয়ের এক চালকের নোহা নিয়ে বিমান বন্দরের উদ্দ্যেশে রওয়ানা দিয়।এ সময় উক্ত নোহা গাড়ীর চালক কৌশলে গাড়ীতে ইয়াবা রাখে।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগাড়া থানার পুলিশ গাড়ীটি জব্দ করে আমাকে ৩নং আসামি করে কোর্টে চালান দেয়।আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে আমি জামিনে এসে পুনরায় পান সুপারীর ব্যবসায় সময় দিতে থাকি।এমন সময়ে এলাকার এক চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে।আমি টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে দুইদিন পর ঐ সোর্সের ইন্দনে আমার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন আমাকে অন্য একটা মামলার পলাতক আসামী দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।উক্ত মামলায় আমাকে ২নং আসামি করা হয়েছে।এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে দৌড়ে পালিয়ে গেছি।অতচ আমি একজন শারীরিক
প্রতিবন্ধী আমি কি ভাবে দৌড়তে পারলাম সেটা বুঝলে অন্তত আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কি না খুব সহজে বুঝতে পারবেন।উল্লেখিত সংবাদের একাংশে আমাকে জড়িয়ে যে সমস্ত তথ্য বিভ্রাতমুলক লেখা প্রকাশিত হয়েছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী


ছৈয়দ আলম
পিতাঃ মৃত খুইল্লা মিয়া
সাং জাগির পাড়া, ঈদগাঁও সদর কক্সবাজার।