যমুনা: পারিবারিকভাবে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী পৃথকস্থানে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। যুগলদের একজন হেনা নামের ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমিকার এমন খবর শুনে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে রোকনুজ্জামান রোকন নামে ওই ছাত্র। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এরা হলেন- কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র রোকনুজ্জামান এবং ছাত্রী মুনতা হেনা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আশরাফুল আলমের মেয়ে মুনতা হেনার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তার সহপাঠী রোকনুজ্জামান। পারিবারিকভাবে সেটা মেনে না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলায় নিজ ঘরের মধ্যে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেন হেনা। গার্লফ্রেন্ডের আত্মহত্যার সংবাদ শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি কুষ্টিয়া শহরের পিয়ারাতলার একটি ছাত্রাবাসে থাকা রোকনুজ্জামান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার মতি মিয়ার রেলগেইট নামক স্থানে পোড়াদহ থেকে ছেড়ে যাওয়া গোয়ালন্দগামী শাটল ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে রোকনুজ্জামান। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা এলাকায়।

পোড়াদহ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ জানান, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার মতি মিয়া রেলগেট এলাকায় পোড়াদহ থেকে গোয়ালনন্দগামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় এবং সে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ইবির প্রক্টর প্রফেসর মাহবুবর রহমান জানান, বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় আমাদের সহকর্মী প্রফেরস আশরাফুল আলমের মেয়ে হেনা ঝিনাইদহের বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর ঘন্টা দুই পরে সংবাদ পাই একই বিভাগের ছাত্র রোকনুজ্জামান ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তবে হঠাৎ দু’জনই কি কারণে এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিলেন সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায়নি।

ঘটনা সম্পর্কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা (বায়োটেকনোলজি এন্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ) প্রফেসর ড. রেজওয়ানুল হক জানান, রোকনুজ্জামানের মরদেহ তার স্বজনদের মাধ্যমে ইবির এম্বুলেন্স যোগে গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গাতে এবং হেনার মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিপার্টমেন্টে দু জনই ভালো শিক্ষার্থী ছিলো। তাদের দু জনের ভালো বন্ধুত্ব ছিলো বলে জানা যায়।