আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের শপথ গ্রহণ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। পূর্বে জানানো তারিখ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হচ্ছে না তার শপথ অনুষ্ঠান। তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আগেই জানিয়েছিল ১১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ইমরান খান। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে ১৪ কিংবা ১৫ আগস্ট।

এদিকে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠায় প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেয়ার আগেই ইমরান খানকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং সেই মর্মে তাকে একটি চিঠিও লিখতে হবে বলে জানিয়েছে পাক নির্বাচন কমিশন।

দেশটির নির্বাচন কমিশন ইমরান খানের আইনজীবী বাবর আওয়ানকে জানায়, শুক্রবারের মধ্যে ইমরানকে ওই চিঠি দিতে হবে এবং সেই চিঠিতে অবশই তার হস্তাক্ষরও থাকতে হবে। নির্বাচনী প্রচারের সময় বিরোধী দলের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক শব্দ বলা এবং প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে নির্বাচনী রীতি লঙ্ঘন করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে আইনজীবী বাবর আওয়ান পাক ইলেকশন কমিশনের কাছে একটি লিখিত ব্যাখ্যা দেন। এতে তিনি জানান, তার ক্লায়েন্ট ইচ্ছাকৃতভাবে বিধিভঙ্গ করেননি। পোলিং বুথের মধ্যে উপচে পড়া ভিড় থাকায় যে পর্দার ভেতর ভোটপ্রদানের গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় তা পড়ে যায়। সেই মুহূর্তে ইমরান খানের অনুমতি ছাড়াই তার ব্যালটের ছবি নেয়া হয়।

তবে ইমরানের আনজীবীর এই ব্যাখ্যা খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে ইমরান খানকে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে ক্ষমা চাইতেই হচ্ছে।

অবশ্য নির্বাচনী প্রচারে আপত্তিজনক কথা বলার জন্য বৃহস্পতিবার ক্ষমা চান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার সর্দার আয়াজ সাদিক, খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খাট্টাক এবং এমএমএ নেতা মৌলানা ফজলুর রহমান। পাক নির্বাচন কমিশন তা গ্রহণ করেছে।

এদিকে তার বিরুদ্ধে পাক সরকারের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশে ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। সেখানে ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সরকারি হেলিকপ্টার চালিয়ে সরকারের প্রায় ২১ লক্ষ টাকা ক্ষতি করেছেন ইমরান খান বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের তদন্ত করছে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।