বার্তা পরিবেশক :

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাজিরপাড়ার আলোচিত আজিজুল হক মার্কিন হত্যা মামলার বাদিপক্ষকে পরিকল্পিতভাবে আসামি করতে আসামিপক্ষ ছিদ্দিকের পরিত্যক্ত বাড়িতে আগুন দিয়েছে আসামীপক্ষের লালিত সন্ত্রাসীরা। ৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মার্কিন হত্যা মামলার বাদিপক্ষ জানিয়েছেন-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রকাশ্যে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা করে নাজিরপাড়ার মৃত মোজাহের মিয়ার পুত্র আজিজুল হক মার্কিন (৩০) কে। এসময় গুরুতর আহত হন নিহত মার্কিনের মা আমেনা খাতুন (৫০) ও ছোট ভাই হাফেজ নুরুল হক (২৬)। তাৎক্ষনাত এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে টেকনাফ থানা পুলিশ ৪ জনকে আটক করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে মার্কিন হত্যার সত্যতা পেয়ে চার্জশীটও দেন। আসামিপক্ষের প্রধান ছিদ্দিক গং এলাকা ছেড়ে অধ্যবদি চট্টগ্রামে বসবাস করে আসছে। যার ফলে তার বাড়ি পরিত্যক্ত হিসেবে রয়ে যায়। আসামীরা এলাকার প্রভাবশালী একটি চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সাথে যোগসাজস করে আজিজুল হক মার্কিনের পরিবারের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। যার ফলে মার্কিনের ছোট ভাই এনামুল হক এনামকে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের মেরে ফেলার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। এমনকি ওই সময় ছোট ভাই এনামুল হককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দিয়ে কারাগারেও পাঠাই। কারাগার থেকে এনামুল হক এনাম বিপুল ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হন। পরে মামলার চার্জশীট থেকে বাদ যেতে ছিদ্দিক ও হামজালাল গং বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এলাকার ত্রাস একটি বাহিনী ও ছিদ্দিক গং ৯ জুলাই এনাম মেম্বারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও আমার শহীদ আজিজুল হক মার্কিনের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর থেকে একজন নির্বাচিত মেম্বার হয়েও তার ভাইসহ ভয়ে সবাই ঘরছাড়া হয়ে যায়। এ সুযোগে হামজালাল গং ছিদ্দিক প্রতারণা শুরু করেছে। মার্কিনের পরিবারের সবাইকে মিথ্যা মামলার আসামী করার জন্য ছিদ্দিকের বাড়িতে আগুন দিছে তারা পরিকল্পিতভাবে।

এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আজিুজল হক মার্কিন এর পরিবার।