প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
৯ আগষ্ট সকাল ১১ টায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৮ম বোর্ড সভা কউক সভাকক্ষে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ এলডিএমসি, পিএসসি’র সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতি জানান, যে বিগত ১৬ জানুয়ারী ২০১৮ ইং, ১০ তলা বিশিষ্ট কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অফিস ভবন একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছিল যার টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হয়ে ১৫ জুলাই ২০১৮ তারিখ নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এই এছাড়াও কক্সবাজার শহরস্থ ঐতিহ্যবাহী লালদিঘী, গোলদিঘী ও বাজারঘাটা পুকুর পুনর্বাসনসহ ভৌত সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিপি গত ১১-০৭-২০১৮ তারিখে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় অনুমোদন প্রদানপূর্বক জিও জারি করা হয়েছে, যার দূত টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে শিগ্রই কাজ শুরু করা হবে। কক্সবাজারে আবাসন সমস্যা নিরসনকল্পে কউক কর্তৃক কক্সবাজার সদর উপজেলায় “কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আবাসিক ফ্ল্যাট উন্নয়ন প্রকল্প-১” নামে একটি প্রকল্প ২৮-০৬-২০১৮ তারিখ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পের প্রসপেক্টাস ছাড়ার অনুমোদন পায়, উক্ত প্রসপেক্টাস বিক্রয়ের কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কউক কক্সবাজারে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেরিন ড্রাইভ সড়কে দরিয়ানগর হতে হিমছড়ি পর্যন্ত রাস্তায় আলোকায়ন প্রকল্প-১ এর কাজ শেষ করা হয়েছে এবং কক্সবাজার শহরে ৬০০টি লাইট লাগানোর মাধ্যমে চলতি মাসে আলোকায়ন প্রকল্প-২ শেষ করা হবে। পর্যটকদের আর্কষণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে শহরের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ভাস্কর্য্য নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারকে একটি আধুনিক ও আকর্ষনীয় পর্যটন নগরী গড়ে তোলার জন্য একটি কার্যকরী মাষ্টার প্ল্যান প্রনয়নের কাজ দ্রুত শুরু হবে।

র্বোডের সদস্যগণ অতি অল্প সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষের এই সফলতা কে সাধুবাদ জানান এবং ২য় মেয়াদে কউকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় চেয়ারম্যান মহোদয়কে অভিনন্দন জানান এবং জনহিতকর সকল কাজে আন্তরিকভাবে সমর্তন থাকবে বলে আশ্চস্ত করেন।

সভাপতি জানান যে, কক্সবাজারকে আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নি¤েœাক্ত প্রকল্প গুলো গ্রহণ করা হয়েছে (ক) পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মহাপরিকল্পনা প্রনয়ন প্রকল্প, (খ) হলিডে মোড়-বাজারঘাটা-লারপাড়া (বাসষ্ট্যান্ড) প্রধান সড়ক সংস্কারসহ প্রসস্তকরণ প্রকল্প, (গ) সুগন্ধা মোড়-সুগন্ধা পয়েন্ট-লাবনী পয়েন্ট সংযোগ সড়ক প্রশস্তকরণ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প, (ঘ) বাঁকখালী নদী সংলগ্ন ১৫০ ফুট প্রশস্ত সবুজ বেস্টনী সহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, (ঙ) হিল ডাউন সার্কিট হাউস-আনবিক শক্তি কমিশন পর্যন্ত বিকল্প সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, (চ) কক্সবাজারস্থ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ফ্ল্যাট উন্নয়ন প্রকল্প-১, (ছ) ভারুয়াখালী মুজিবঘাট সংলগ্ন এলাকায় কউক কর্তৃক বিনোদন কেন্দ্র/ইকোপার্ক নির্মাণ প্রকল্প, (জ) রহমানিয়া মাদ্রাসা হতে জেলখানা পর্যন্ত সংযোগ সড়ক র্নিমাণ প্রকল্প। প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়নের ফলে কক্সবাজারে পর্যটন শিল্প বিকাশে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপস্থিত বোর্ড সদস্য বৃন্দ কউকের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং সকলে সার্বিক ভাবে সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন।

বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বাজেট অধিশাখা) ড. মো: মনিরুল হুদা, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, স্থাপত্য অধিদপ্তর এর উপ-প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ভূঁঞা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছাম্মত নাজমুন নাহার, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, গণপুর্ত বিভাগ কক্সবাজার এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এস.এম.জাহিদ অপু, চুয়েট ইউ.আর.পি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাশীষ রায় রাজা, কক্সবাজার পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী টিটন দাশ, কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগের এ.এস.পি বাবুল চন্দ্র বনিক, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রকৌশলী বদিউল আলম, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য এডভোকেট প্রতিভা দাশ প্রমুখ।