নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশ্কুল ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধুবাজারে একটি গ্যাসের দোকানে গভীর রাতে ‘হাজী ওমর হাকিম ট্রেডার্স’ নামে এক দোকানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই দোকানের গ্যাস সিলিণ্ডার ও অন্যান্যা মালামালসহ অন্তত ২২ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে এই এঘটনা ঘটে। পুড়ে যাওয়ার দোকানের মালিক কাউয়ারপাড়া এলাকার হাজী ওমর হাকিম।

দোকানের মালিক হাজি ওমর হাকিম জানান, তার দু’পুত্র মোঃ তারেক ও শামীম দোকানটি পরিচালনা করতো। প্রতিদিনের মতো রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে তারা বাড়ি চলে যায়। এর মধ্যে রাত সোয়া তিনটার দিকে বাজারের পাহারাদারের মাধ্যমে দোকানে আগুন লাখার খবর পায় তারা। এসে দেখেন দোকানের ভেতর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তবে দোকানঘর ইট-কংক্রিটের ও ছাদ থাকায় তখন পর্যন্ত আগুন ভেতরেই জ্বলতে থাকে। পরে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা আগুন জ্বলার পর ফায়ার সার্ভিস দল পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভায়। ততক্ষণে সব ছাড়া মালামাল পুড়ে যায়।

দোকানের মালিক হাজি ওমর হাকিম পুত্র দোকান পরিচালনাকারী মোঃ তারেক জানান, ওই ভবনেন দু’টা কক্ষ নিয়ে দোকানটি পরিচালনা হতো। এর মধ্যে এক কক্ষ দোকান হলেও অন্য কক্ষ মালামাল রাখার গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। দোকানটিতে গ্যাসের বিক্রির পাশপাশি গাসের চুলা, ইলেক্ট্রনিক্স, সেনেটারি, রেডিমেট দরজা, ক্রোকারিস ও প্লাস্টিক সামগ্রীও বিক্রি করা হতো। সব সামগ্রী মিলে প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল ছিলো দোকানে। সব মালামাল পুড়ে গেছে।

দোকানের মালিক হাজি ওমর হাকিম জানান, তারা নিশ্চিত হয়েছেন কেউ শত্রুতা করে আগুন দিয়েছে। তার প্রমাণ হিসেবে দোকানের পিছনে দরজার কাছে ডিজেল ভর্তি একটি বড় বোতল পাওয়া গেছে। ওই তেলভর্তি বোতলটি বাইরে রেখে একটি কাপড় পেঁচিয়ে আগুন লাগিয়ে কাপড়টি দোকানের পানি সরানোর ছিদ্র দিয়ে দোকানের ভেতরে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এই আগুন ছড়িয়ে গিয়ে সব পুড়ে গেছে। সেই স্থান থেকে একটি সেন্ডেলও পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত হিসেবে ওই বোতল, আগুন লাগানো কাপড় ও স্যান্ডেলটি জব্দ করেছে।

হাজি ওমর হাকিম বলেন, কোনো কারণে আমাদের সাথে কারো শত্রুতা নেই। আমরা সন্দেহ করছি কেউ দোকানের সফলতায় হিংসাপরায়ণ হয়ে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি থানায় এজাহার জমা দিয়েছি।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। কেউ দায়ী হলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।