জে জাহেদ, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)’র নেয়া মেগা প্রকল্পের কাজ তিন বছরে সম্পন্ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

আজ (৭আগস্ট) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলায়তনে সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী সুভাস বড়ুয়া এ আশংকা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া আরও বলেন, চলতি বছরে ২৮ এপ্রিল জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু এখনও জনগণ জানে না কখন কনস্ট্রাকশন টাইম সিডিউল, খাল খনন, অবৈধ স্থাপনাগুলো কখন শুরু হবে সেটা। আমরা সন্দিহান এত বিশাল প্রকল্প তিন বছরে সম্পন্ন হবে কি না।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ প্রতিটা খাল সংস্কারের পর সে খাল দিয়ে কেচমেন্টের অতি বৃষ্টির পানি, কত সময়ে নিস্কাশিত হবে তার চিত্র।

মেগা প্রকল্পের কাজ করার সময় নগর পরিবেশের উপর কি রকম প্রভাব পড়বে, কী ধরনের জনদূর্ভোগ হবে এবং তার ব্যবস্থাপনা কী হবে তা জনগণকে জানানোর আহবান জানান।

এছাড়াও নতুন খাল খনন করা হবে কি না। কারণ শুধুমাত্র চাক্তাই ও মহেশ খাল দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা প্রশমন সম্ভব নয়। ১৯৯৫ সালের মাষ্টারপ্ল্যানে নূতন খাল খননের সুপারিশ করা হয়েছিল বলেও জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে কারিগরি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তারা নয়টি প্রস্তাব দিয়েছে। তা হলো, নূতন খাল খনন, প্রকল্প সম্পাদনের পর পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা ও অপারেশন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খাল ড্রেন সিল্ট ট্র্যাপ পাহাড় ব্যবস্থাপনা, বৃষ্টির পানি হারভেষ্টিং প্রস্তাবনা, নরম সবুজ চত্বর ও বৃক্ষরাজি ধার্বাহিকভাবে সম্প্রসারণ করা, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ লোকবল, ইকুইপমেন্ট ও অর্থ ব্যবস্থাপনা, কোন্ প্রতিষ্ঠান এ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে, সে প্রতিষ্ঠানকে সক্ষম করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর সেকান্দর খান, স্থপতি জেরিনা হোসেন, প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, শাহরিয়ার খালেদ, আখতার কবির চৌধুরী, শামসুল হোসেন, প্রকৌশল দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, তসলিমা আখতার, প্রকৌশল এ.বি.এম.এ.বাসেত।