সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও:

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজের চাহিদা তৈরি হয় কোরবানির ঈদে। এ উৎসব সামনে রেখেই ধাপে ধাপে বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্যর দামও। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে এই দাম পৌঁছে গেছে ৬০ টাকায়। বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ঈদগাঁও বাজার ঘুরে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা কেজি দরে। আমদানীকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারের কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সাধারণত দুটি সময়ে বাজারকে অস্থির করে তোলে। রমজান মাস ও কোরবানির ঈদে। কোরবানির ঈদের আর বেশিদিন বাকি নেই। তাই ব্যবসায়ীরা এটাকে লক্ষ্য বানিয়ে থাকতে পারে। নিয়মিত বাজার অভিযান পরিচালনা ও মনিটরিং না হওয়ার কারণে পেঁয়াজের বাজার অস্থির করে তুলছে ব্যবসায়ীরা। এমনতর অভিযোগ ভোক্তা সাধারনের।

পেঁয়াজ আমদানিকারকরা ইন্দোর ও রাজস্থান জাতের ছোট-বড় আকারের পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য এলসি করেছে ২৫০ ডলার হিসাবে। সে হিসাবে ৮৪ টাকা বাট্টায় এক টন পেঁয়াজের দাম পড়ছে ২১ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২১ টাকা কেজি। এরপর সব খরচ মিলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরো কম হওয়া উচিত। কিন্তু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।

ঈদগাঁও বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের দাম একই রকম ছিল। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি হয়েছিল। সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। এতে করে দাম বেড়েছে।

বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের মজুদ কম থাকার কারণে দিন দিন দাম বেড়েছে। যদিও দেশে সিজনে উৎপাদিত পেঁয়াজ সারা বছরই বিক্রি হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে (ক্যাব) কর্মকর্তা গোলাম রহমান বলেন, এ সময়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ দেখছি না। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করে থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।