বিবিসি : ঢাকার জিগাতলার মোড়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুর একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা আকবর হোসেন।
শনিবার এই এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল।
বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, এদের প্রায় সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, যারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে জিগাতলার দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশের বাধার পর তারা সায়েন্স ল্যাব এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে বিবিসির কাদির কল্লোল জানাচ্ছেন, পুলিশের পরপরই একদল তরুণ লাঠিসোঠা নিয়ে সায়েন্স ল্যাব থেকে শুরু করে জিগাতলা পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সাংবাদিকরা ছবি তোলার চেষ্টা করলে তারা তাদের ওপরও হামলা করছে।
গত কয়েকদিনের আরেকটি উত্তাল এলাকা মিরপুরেও অনেক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে বলে গেছে। শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করলেই পুলিশ তাদের সরিয়ে দিচ্ছে। সেখানে যুবলীগ আর ছাত্রলীগের কর্মী সমর্থকদের অবস্থান করতেও দেখা গেছে।
তবে উত্তরা, রামপুরা, আসাদ গেট এবং কুড়িলেও শিক্ষার্থীরা আজও অবস্থান নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সকালে গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা কয়েকটি আন্দোলন করেছে। তাদের ইচ্ছামত যা যা করার করছে, আমরা তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু এখন তাদের নিয়ে আমি শঙ্কিত, কারণ তাদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলবো, যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়, ঘরের ছেলে মেয়ে ঘরে ফিরে যাবে, লেখাপড়া করবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করা পরিবহন শ্রমিকদের আজ মিরপুরের অনেক রাস্তায় অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।