সিবিএন ডেস্ক

দুই বাসের রেষারেষিতে বিমানবন্দর সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর একজন দিয়া খানম মিমের বাসায় গিয়েছিলেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। বাসায় গিয়ে দিয়ার পরিবার ও সকল শিক্ষার্থীর কাছে তার ‘হাসির জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন নৌমন্ত্রী।

বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মহাখালীর দক্ষিণপাড়ায় দিয়াদের বাসায় যান নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করে দিয়ার শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সান্তনা দেন তিনি।

দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী বাসায় এসে আমাদের সান্ত্বনা দেন। আমি তাকে বলেছি, রাস্তায় যেসব অদক্ষ ড্রাইভার আছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করেন। এসময় মন্ত্রী এসব করবেন বলে আশ্বাস দেন।

জাহাঙ্গীর ফকির বলেন, ঘটনার পরদিন তার হাসি নিয়েও ব্যাখ্যা দেন তিনি। মন্ত্রী বলেছেন, দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করায় উত্তর দেওয়ার সময় আমি (মন্ত্রী শাজাহান খান) হাসছিলাম। আমি তখনো জানতাম না ঘটনাটা, বুঝতেও পারিনি। তারপরও আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। সকল শিক্ষার্থীদের কাছেও ক্ষমা চাই।

সেখানে নিহত দিয়ার বন্ধু-বান্ধবীসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

রোববার দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই ওঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন। এছাড়া আহত হন আরও ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী।

ওই দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া দুইজন হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।