সংবাদদাতা:

প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপে সেতারা বেগম নামের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে  মানববন্ধন করেছে টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।  বুধবার (১ আগস্ট) দুপুর পৌনে দুইটায় কলেজের ফটকের সামনে ‘আমার বোন ধর্ষণ কেন, ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক চাই’ স্লোগানে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে এরকম একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলেও নিরবতা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ সাধারণ মানুষের মুখেমুখে হলেও কিছু দুষ্কৃতিকারীদের ঘৃণ্য মনোভাবের কারণে যথাযথভাবে এগুতে পারছেনা ভিকটিমের পরিবার। মানববন্ধনে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ জয়নাল আবেদীন সেন্টমার্টিন দ্বীপে এরকম ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মানুষ জন্মগতভাবে খারাপ নয়, পরিবেশের সংস্পর্শে ধীরে ধীরে তার পরিবর্তন হয়। সমাজে যে পরিমাণ যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে কোন এক সময়ে আমরা যে এর ভুক্তভোগী হব না এর নিশ্চয়তা কী! এ সমস্যা সমাধানে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। ধর্ষক ও যৌন হয়রানিকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সদ্য এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থী নুরুল হক নুরুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্যবসা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিক, হোস্টেল সুপার সামশুল ইসলাম, অধ্যাপক ভৌমুত্তিক, হিসাব বিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দু রাজ্জাক, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপিকা  রোকিয়া, কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ ইমান হোসেন, তামিম ইকবাল আবু বক্কর সিদ্দিক ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তানিয়া। এ সময় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের মাঝের পাড়ায় সেতারা বেগম নামের এক তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখ ওই তরুণীর ভাই বাদী হয়ে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। যার সিপি মামলা নং-২২৮।

মামলায় মোঃ তৈয়ব (২৭) নামের এক যুবককে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক হলেন একই গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিমের ছেলে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের দায়ভার দেন। দীর্ঘসময় তদন্তের পর পিবিআই কর্মকর্তা এস.আই (নিঃ) শাহেদুল্লাহ ১৫ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। পিবিআই কর্মকর্তার দেওয়া প্রতিবেদনে তরুণীকে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু পিবিআই’য়ের দেওয়া প্রতিবেদন মানতে নারাজ বাদীপক্ষ। তারা এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেওয়ার কথা বলেন।