ডেস্ক নিউজ:
যেমনটা ভাবা হয়েছিলো, ঠিক তাই হলো। টি-টোয়েন্টির সেরা দলগুলোর একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলে সব বিগ হিটার। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নও তারা। অন্যদিকে বাংলাদেশ এমন এক দল টি-টোয়েন্টিতে যাদের রেকর্ড খুবই খারাপ। দুই দলের শক্তি আর সামর্থের ফারাজ যোজন যোজন। তাই এই ম্যাচে ভিন্ন কিছুর প্রত্যাশা হয়তো কম মানুষেরই ছিলো। আর বাংলাদেশর মামুলি সংগ্রহের পর সেই সামান্য আশাও হারিয়ে গেছে।

তবে কিছুটা ব্যতিক্রম হয়ে এলো প্রথম ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের জোড়া উইকেট। তবে এই ধাক্কা সামলেও জয় তুলে নিতে কোন অসুবিধা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেন্ট কিটসে বৃষ্টি বিঘ্নিত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ১১ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে তারা।

বাংলাদেশর ইনিংসের পর বৃষ্টির মাথায় ম্যাচের পরিধি ছোট হয়ে আসে। বাংলাদেশর ৯ উইকেটে করা ১৪৩ রানের বিপরীতে ক্যারবীয়দের টার্গেট দেয়া হয় ১১ ওভারে ৯১ রানে। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের তোপের মুখে পড়ে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ইনিংসের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারেই ক্যারিবীয় দুই ওপেনারকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন দিয়েছেন কাটার মাস্টার।

ইনিংসের ‍দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে এভিন লুসইকে ফেরান মোস্তাফিজ। লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরেন লুইস। আর শেষ বলে আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফেরান উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহীমের গ্লাভসবন্দী করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ১০। তবে বাংলাদেশের প্রতিরোধ ওই পর্যন্তই। এরপর আরো তৃতীয় উইকেটে আন্দ্রে রাসেল আর মারলন স্যামুয়েলসের ২২ বলে ৪২ রানের জুটিতে ম্যাচ অর্ধেকটা পকেটে পুরে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৫২ রানে স্যামুয়েলসে ফেরান পেসার রুবেল হোসেন। তবে তাতেও ম্যাচের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।

ক্রিজে আসা রোভমান পাওয়েলকে নিয়ে ৪১ রানের আরেকটি জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করে দেন অনেক দিন পর এই সিরিজের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলে ফেরা অলরাউন্ডার রাসেল। এই জুটি বল খেলেছে ২১টি। ইনংসের দশম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে পাওয়েল।

আন্দ্রে রাসেল ২১ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিন ছক্কা আর তিন চার হাকিয়ে। ১৩ বলে ২৬ রান করেছেন স্যামুয়েলস। পাওয়েল করেছেন ৯ বলে ১৫ রান।

এই ম্যাচে জয়ের ফলে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আরো পড়ুন : ছোট সংগ্রহে বড় চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ

শুরুতে হোঁচট, আর শেষে ধস। পরিণতিতে সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বড় সংগ্রহ হলো না বাংলাদেশের। এখন বোলারদের ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের ভাগ্য। আজ বুধবার টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত করে ৯ উইকেটে১৪৩ রান।

শুরুতেই ০ রানে তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকারকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ ভালোমতোই সামাল দিয়েছিলেন লিটন দাস, সাকিব আল হাসান আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু শেষ দিকের ব্যাটসম্যানেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিলে বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।

তামিম আর সৌম্য উভয়েই প্রথম বলেই বিদায় নেন কোনো রান না করেই। প্রথম ওভারেই তারা আউট হয়েছিলেন। তামিম আউট হন একেবারে প্রথম বলে। স্ট্যাম্পড হয়ে যান তিনি। সাকিবও দুর্ঘটনার শিকার হতে পারতেন। ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু ড্রপড হয়েছে।

এরপর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান আর লিটন দাস। এই জুটি মূল্যবান ৩৮ রান যোগ করেন। তাদের বিচ্ছেদ ঘটে লিটন দাসের বিদায়ে। তিনি ২৪ রান করেছিলেন। সাকিব আল হাসান ১০ বলে করেন ১৯ রান। সর্বোচ্চ স্কোর আগে মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে। তিনি ২৭ বলে ৩৫ রান করেছিলেন, তিনটি চার আর দুটি ছক্কা দিয়ে।