ধর্ম ডেস্ক:
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম নফল নামাজ আদায় করা। আর রাতের নামাজ আল্লাহর কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। যারা রাতের বেলায় তাহাজ্জুদ নামাজে অভ্যস্থ তারা যদি কোনো কারণে রাতে নফল বা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে না পারেন তবে হাদিসের ঘোষণায় তাদের ঘুমে রয়েছে সাওয়াব ও সাদকা। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-

০ হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে কিছু (নফল) নামাজ আদায়ে অভ্যস্থ হয়। আর যদি কোনো রাতে তার ঘুম প্রবল হয়ে যায় এবং সালাত আদায় করতে না পারে তবে সে ব্যক্তির ঘুম তার জন্য আল্লাহ্‌র তরফ থেকে সাদকা স্বরূপ হবে এবং আল্লাহ্‌ তার জন্য নামাজের সওয়াব লিখে দেবেন।’ (নাসাঈ)

০ হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার নিয়তে বিছানায় আসে (ঘুম যায়) কিন্তু দু’চোখে ঘুম প্রবল হয়। আর ভোর পর্যন্ত সে ঘুমিয়ে থাকে, তার জন্য তার নিয়ত অনুসারে সওয়াব লেখা হবে। আর আল্লাহ তাআলঅর পক্ষ থেকে ঘুম তার জন্য সদকা স্বরূপ হয়ে যাবে।’ (নাসাঈ)

আরও পড়ুন > ফজর ও আসর নামাজ শেষ মুহূর্তে পড়লে কি হবে?

উল্লেখিত হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়েন। তারা যদি কোনো রাতে তাহাজ্জুদ বা নফল আদায় করতে না পারেন তবে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে তাহাজ্জুদের সাওয়াব দান করবেন আর তার ঘুম হয়ে যাবে তার জন্য সাদকা।

আবার যারা তাহাজ্জুদ নামাজে অভ্যস্ত তারা যদি ঘুম বা অসুস্থতার কারণে রাতের বেলায় তাহাজ্জুদ পড়তে না পারেন তবে দিনের যে কোনো সময়েও তা আদায় করে নিতে পারেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে-

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঘুম বা অসুখ-বিসুখ কিংবা ব্যথা-বেদনার কারণে রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে না পারতেন, তখন তিনি দিনের বেলা ১২ রাকআত নামাজ আদায় করে নিতেন।’ (নাসাঈ)

সুতরাং একান্তই যারা রাতে নফল কিংবা তাহাজ্জুদ পড়তে অপারগ হয়ে যান; তারা দিনের বেলায় তা আদায় করে নিতে পারেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজসহ নফল নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।