সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও:
অবহেলিত বিশাল জনগোষ্টির চলাচলের বেহাল দশায় পরিনত কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী-গোমাতলী সংযোগ পাকা সড়কটি দীর্ঘদিনেও মেরামত কিংবা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির অভাবে সড়কটি এখন জনসাধারনের জন্য দূর্ভোগের নিত্য দিনের সঙ্গী হলেও এ নিয়ে কারও মাথা ব্যাথা নেই। এমনকি এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে ভূক্তভোগিদের অভিযোগ।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়নের পোকখালী মালমুরা পাড়া ও তার পার্শবর্তী গোমাতলীর মানুষের বিভিন্ন স্থানে সড়ক পথে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেক নজরের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়কটির দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় পশ্চিম গোমাতলী হতে মালমুরা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিমি সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য খানা খন্দে চলাচল অনুপযোগি হয়ে উঠেছে। সড়কটির বেহাল দশা বিরাজ করায় সর্ব সাধারনের চলাচলে অবর্নণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগিদের কাছ থেকে জানা গেছে, ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পশ্চিম গোমাতলী, ৭নং ওয়ার্ড উত্তর গোমাতলীর বিশাল জনগোষ্টি সড়ক পথে সদর উপজেলা, ঈদগাঁওসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে হাজার হাজার পথচারী এবং কলেজগামী শিক্ষার্থী চলাচল করে। বর্তমানে সড়কটির অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিশাল বিশাল গতের্র সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলতি বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্ট খাদে পানি জমে থাকে। জলবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার পথচারী ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্দ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সড়ক দিয়ে এখন পাঁয়ে হেঁটে চলাচল করা অনেকটা দুস্কর। বিশেষ করে বর্ষাকালে সড়কটির বেহাল দৃশ্য দেখে মনে হবে সড়ক তো নয় যেন এক একটি খাল। সড়কটি দিয়ে পাঁয়ে হেঁটে চলাচল করতে গিয়ে অনেকে পথচারী-শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ অবস্থায় সড়কটি এখন কারও জন্যই নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে সিএনজি, অটোবাইক, ব্যাটারী চালিত ভ্যান, মোটর সাইকেল ও বাইসাইকেলসহ নানা ধরনের হালকা ও ভারী যানবাহন সাময়িক বন্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু চরম ঝুঁকিপূর্ন জেনেও স্থানীয়রা নিরূপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। ঝুঁকিপূর্ন সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যাত্রীরা মারাতœক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এভাবে প্রতিনিয়তই সড়কটিতে ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা।

৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আলা উদ্দীন বলেন, পশ্চিম গোমাতলী থেকে সদরের কক্সবাজার পৌঁছতে আগে ২০ মিনিটের বেশী সময় লাগতো না। কিন্তু বর্তমানে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গাচূড়া ও গাড়ী চলাচল বন্দ থাকায় বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। ফলে ২০ মিনিটের রাস্তা এখন প্রায় ১ ঘন্টা সময় লাগছে।

স্থানীয় চিকিৎসক শাহাব উদ্দীন জানান, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের কারণে হেটে চলা দুস্কর হয়ে পড়েছে। সড়কটির নাজুক পরিস্থিতিতে বিশেষ করে মুমুর্ষ রোগিকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত কোন হাসপাতালে নিতে গিয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় সচেতন মহল সড়কটির এমন দু:রবস্থার বিষয়টি এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জেনেও অদ্যবধি কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন। অনেকেই আবার এলাকার উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিদের ভুমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানায়, সড়কটি মেরামতের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই সড়কটির কাজ শুরু করা যাবে।