-শফিকুল ইসলাম

১।ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মজয়ন্তী, । ১৮৯৯ সালের এইদিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায় জন্মগ্রহন করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন, এক দেশের কবিকে নাগরিকত্ব দিয়ে ভিন্ন দেশের জাতীয় কবি বানানো হয়েছে। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশেই এটা সম্ভব।

২।তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের কবি নজরুলকে যখন নাগরিকত্ব দেয়া হয়, তখন কবি বাকশক্তিরহিত ও বোধশক্তিহীন। কবির সম্মতি ছাড়াই বিদেশী কবিকে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব দিয়ে তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়।

৩। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের অপর কবি রবীন্দ্রনাথকে কেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়নি কেন? ইনি হিন্দু ব্রাহ্মধর্মবাদী কবি বলে? অথচ রবীন্দ্রনাথ ছিলেন জমিদার ও নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি। অন্যদিকে নজরুল ছিলেন সামান্য হোটেল কর্মচারী ও সেনাবাহিনীর নিম্নপদস্থ হাবিলদার।

৪। আর আমাদের এই জাতীয় কবিই কিনা বাংলাভাষার সাথে আরবী-উর্দু-ফার্সী শব্দ মিশিয়ে বংলাভাষার সতীত্ব নষ্ট করেছেন অন্যকথায় বংলাভাষার মুসলমানীকরণ(circumcision) করেছিলেন।

৫। তাছাড়া কবির সম্মতি ছাড়াই কবিকে তার জন্মভূমি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উঠিয়ে এনে বাংলাদেশে সমাধিস্থ করা হয়। মানুষের একটি স্বাভাবিক আকাংখা জন্মভূমির মাটিতে সমাধিস্থ হওয়া। এক্ষেত্রে সেটিও মানা হয়নি। আমি তো মনে করি কবর থেকে তার দেহাবশেষ উঠিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পুনরায় সমাধিস্থ করা হোক। তাহলে তার বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।

৬। সেক্ষেত্রে কবির বাকশক্তিরহিত ও বোধশক্তিহীনতাকে স্বার্থ হাসিলের জন্য কাজে লাগানো হয়েছে।

লেখক- শফিকুল ইসলাম, উপসচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়। কবি, গীতিকার ও ব্লগার।