ডেস্ক নিউজ:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা তিন সিটি নির্বাচন সম্পর্কে বলেছেন, মিডিয়া নয়, আমাদের কর্মকর্তাদের তথ্যই গ্রহণযোগ্য। বরিশাল সিটি নির্বাচন সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অনিয়ম অবশ্যই প্রত্যাশা করিনি। তবে বরিশালে অনিয়ম হয়েছে সেটা আমরা ট্রেস করেছি। গণমাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় এসেছে, তবে আমাদের রিটার্নিং কর্মকর্তারা যে তথ্য দিয়েছেন সেটাই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বিষয়। সেই তথ্য-উপাত্ত পেয়েই আমরা বরিশালে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সোমবার তিন সিটির নির্বাচন পরবর্তী প্রেস বিফ্রিং এ কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সিইসি আরো জানান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ১৩৮টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেখানে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে দু’টি কেন্দ্র ব্যতীত বাকি কেন্দ্রেসমূহে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। বরিশালে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে সকালের দিকে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিস্তারিত তথ্য নিয়েছি। একটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আরো ১৫টি কেন্দ্রের অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ওইসব কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ভালো হয়েছে। বরিশালে ১৫টি কেন্দ্রের যে অনিয়ম তা রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি।

বরিশালের বিএনপির মেয়র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে সিইসি বলেন, তিনি কেন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আমি বলতে পারবো না। তবে ১৫টি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে তা তুলনামূলকভাবে বড় ধরনের সংখ্যা। সেখানে সকাল থেকে একটি কেন্দ্র বন্ধ আছে আর ১৫টি স্থগিত আছে। অনিয়ম হয়েছে, সেজন্য এগুলো স্থগিত রাখা হয়েছে। অন্যান্য সিটির ব্যাপারে আমরা ওভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তথ্য পাইনি।

তিনি বলেন, রাজশাহীতে কোনো অনিয়ম হয়নি। এজন্য একটা কেন্দ্রও বন্ধ হয়নি।

বরিশালে মেয়র প্রার্থী মনীষা চক্রবর্তীর ওপর হামলা বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনে সকল বিশৃঙ্খলা রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া আছে। ওই প্রার্থী চাইলে মামলা করতে পারেন। আমরা তাকে সেই পরামর্শ দেবো।

বরিশালে কয়েকজন প্রার্থী পুনরায় ভোটগ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বরিশালে পুনরায় ভোট নেয়ার অবস্থা হয়নি। আমরা পেয়েছি ১৫ কেন্দ্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন, সেটি আমরা করব। কিন্তু পুনরায় নির্বাচন করার অবস্থা সেখানে নেই।