পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়া উপজেলার মগনামার সোনালী বাজারস্থ আশেপাশের এলাকাটি প্রত্যন্ত এক গ্রাম অঞ্চল। বিগত এক যোগ আগে ছিলনা কোন ধরণের শিক্ষার পরিবেশ। প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে না পেরে অনেক শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী ছিল একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরই ধারাবাহিকতায় গণস্বাস্থ্যর একটি পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে সোনালী বাজার গণপাঠশালা নাম ধারণ করে রেজিস্ট্রাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রম শুরু করে। সারাদেশে শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগকে আরো প্রসারিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেজিস্ট্রাট প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারীকরণের প্রজ্ঞাপণ জারী করলে সোনালী বাজার গণপাঠশালা সরকারীকরণ হয়। পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করায় শতশত শিক্ষার্থী চরম ঝুঁকিতে ছিল। এ নিয়ে স্থানীয় দৈনিকগুলো বস্তনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার শিক্ষা বিস্তারের নতুন ভবন তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। সর্বশেষ এ ভবনের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য মগনামা ইউনিয়নের চেরাংঘোনা এলাকায় সোলানী বাজার গণপাঠশালার নামে ৩৩শতক জমিদান করেন মৃত আলী মিয়ার পুত্র ছৈয়দ নুর, মো: শাহালম ও নুরুল আজিম। যার বিএস খতিয়ান ২৪২ ও ১০৬। নামজারী খতিয়ান নং ১৯৮০(১২/০৯/২০১১)ইং, দাগ নং-১২০৩৮ ও ১২০৩৯। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ওই জমি পেয়ে কাগজপত্র বিশ্লেষন করার পর স্কুলের জন্য নতুন ভবন করার উদ্যোগ গ্রহন করে। প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিক উন্নয়নের অংশ হিসাবে সোনালী বাজারস্থ চেরাংঘোনা এলাকায় ভবনের জন্য বরাদ্ধ প্রদানের প্রাথমিক কাজ হিসাবে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর স্কুলের জন্য বরাদ্ধকৃত জমি পরিদর্শন করে।

রবিবার (২৯ জুলাই) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষে হারু কুমার পালসহ আরো কয়েকজন মাঠি পরিক্ষণ কাজ শুরু করে। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মাঝে ব্যাপক আনন্দ উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

শিক্ষার্থী বাপ্পি, রিপনসহ আরো কয়েকজন বলেন, রেজিস্ট্রাট প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি। পরিত্যক্ত ভবনে আমরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে লেখাপড়া করেছি। সাংবাদিক ভাইদের লেখালেখির কারণে আমরা নতুন ভবন পেতে যাচ্ছি। ধন্যবাদ শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় ও বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু করায়।

অভিভাবক বদিউল আলম, মাহফুজসহ আরো অনেকে বলেন, গণস্বাস্থ্যর একটি পরিত্যক্ত ভবনে আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করায় আমরা চরম উদ্বিগ্ন ছিলাম। কখন দূর্ঘটনা হয় এ নিয়ে চরম আতংক কাজ করছিল। সর্বশেষ প্রকৌশল কর্মকর্তার মাধ্যমে মাঠি পরিক্ষণ কাজ শুরু হয়েছে। সীগ্রয় ভবনের বরাদ্ধ হবে। ছেলে মেয়েরা আর কষ্ট পাবেনা।

সোনালী বাজার গণপাঠশালার সভাপতি নুরুল আজিম বলেন, এতদিন অনেক কষ্ট ছিল আমাদের ছেলে মেয়েদের। পরিত্যক্ত ভনবটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যন্ত এ এলাকায় ভবন বরাদ্ধে জন্য অগ্রগামী করেছে। মাঠি পরিক্ষা হয়েছে। সীগ্রয় ভবনের বরাদ্ধ হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়া কার্যালয়ের উপসহাকারী প্রকৌশলী হারু কুমার পাল বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ভবন বরাদ্ধের জন্য মাঠি পরিক্ষা করা হয়েছে। যাচাই বাচাই করে মন্ত্রানালয়ে যাবে তারপর বরাদ্ধ হবে। এরপর কাজ শুরু হবে।