ফারুক আহমদ, উখিয়া:

পুলিশ সদর দপ্তরের ৯৯৯ (থ্রি পল নাইন) হেল্প নম্বরে অভিযোগের ভিত্তিতে উখিয়া থানার পুলিশ মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে মুক্তিপনের টাকা সহ অপহৃত চট্টগ্রামের ২ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে। অপহরণ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিয়োগে আবদুল লতিফকে আটক করে পুলিশ। তিনি ঘুমধুম ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র।

জানা যায়, কুমিল্লার লাঙ্গল কোর্টের মো: লকিয়াতুল্লাহর ছেলে মো: মো: সেলিম (২৭), চট্টগ্রামের সন্দীপ থানা ডা: আবুদল মান্নানের ছেলে মোতাদ্দির রহমান (২৮) নামক দু’ব্যবসায়ীকে গত বুধবার কুতুপালং এলাকা থেকে অপহরনের শিকার হয়।চট্টগ্রামে তাদের জুতার কারখানা রয়েছে। দুর্বৃত্তরা তাদেরকে অপহরণ করে পাশ্ববর্তী ঘুমধুমের আজুহাইয়া গভীর জঙ্গলে হাত পা বেঁেধ অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে দু লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে।

পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের আর্ত চিৎকার শুনে অপহরণকারীদেরকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিতে রাজি হয় এবং তাদের দেওয়া বিকাশ নাম্বরে টাকা পাঠায়।

পুলিশ জানায়, অপহৃত পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি একই সাথে ঢাকা পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ৯৯৯ হেল্প নম্বারে অভিযোগ করেন। ঢাকা পুলিশ হেড কোয়ার্টার তাৎক্ষণিক মোবাইল ট্রাকিং ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হন বিকাশ এজেন্ট দোকানটি হচ্ছে উখিয়ার কোর্টবাজার ষ্টেশনে। ঢাকা পুলিশ হেড কোয়ার্টার অপহৃতদের উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আটক করার জন্য উখিয়া থানাকে নির্দেশ দেন।

অফিসার ইনর্চাজ মো: আবুল খায়ের ও এস.আই মিল্টন গত বৃহস্পতিবার রাতে কোর্টবাজার বিকাশ এজেন্ট দোকানে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উৎপাতে থাকে পুলিশ সদস্য। এক পর্যায়ে বিকাশের দোকানে পাঠানো মুক্তিপনের টাকার জন্য আসলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুক্তিপনের টাকা সহ আবদুল লতিফকে আটক করে। ওই দিন রাতেই তার স্বীকারোক্তি নিয়ে ঘুমধুম ফাড়িঁর পুলিশের সহযোগিতায় আজুহাইয়া গভীর জঙ্গল হতে হাত পা বাঁধা অবস্থায় দু’ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে।

উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ী মো: সেলিম মুক্তাদির জানান, পূর্ব পরিচিত ব্যক্তিদের অনুরোধে জুতার ব্যবসা করার লক্ষে তারা কুতুপালংয়ে আসলে ঘুমধুম মগঘাট এলাকা মৃত আলী আকবরের ছেলে আনোয়ার, ইমাম শরীফের ছেলে এরশাদুল হক আজুহাইয়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে আমিনসহ ৫/৬ জন দুর্বৃত্ত তাদেরকে অপহরণ করে অমানষিক নির্যাতন চালিয়ে দু ’লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে।

ঘুমধুম পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ ইমন চৌধুরী জানান, অভিযুক্ত অপহরণকারীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।