নয়ন কান্তি দে


দিনটি ছিল শুক্রবার এই ছুটির দিনে বাবা আর আমি মিলে বাজারে যাচ্ছিলাম।
হঠাৎ এক যুবক লোক এসে বাবাকে বলল আমাকে কিছু ভিক্ষা দেন, আমি অনেকদিন ধরে কিছু খাইনি।তখন আমি বাবাকে বললাম বাবা উনি যেহেতু অনেকদিন হচ্ছে কিছু খাইনি, ওনাকে একটা দোকানে নিয়ে গিয়ে কিছু খাওয়ান। তখন বাবা মনে করলো ঠিকই বললাম আমি।
বাবা একটা দোকানে নিয়ে গেল নিয়ে যাওয়ার পর ওই দোকানে বসে তাকে পেট ভরে খাওয়ালেন।
খাওয়া শেষে চলে যাবার আগে বাবা জিজ্ঞাসা করলে তুমি কেন ভিক্ষা করো? (ভিক্ষুকটির শারীরিক অবস্থা সাধারণ মানুষের মত)
তুমি কাজ করলে তো পারো।
উত্তরে বলল কোন কাজ পাইনা সেইজন্য ভিক্ষা করি।
তখন বাবা বলল আমি কাজ দিলে তুমি কাজ করবে?
ভিক্ষুকটি বললো কি কাজ?
তখন বাবা বলল তুমি আমাদের খামারে কাজ করবে।
তখন ভিক্ষুকটিও রাজি হল কাজ করার জন্য।
তো বাবা তাকে সাথে করে নিয়ে আসলেন বাড়ীতে।
আসার পর তাকে তার কাজ গুলো বুঝিয়ে দিলেন এবং সেইও কাজ করতে তাকে,,,যেহেতু নতুন তারপরও বাবা সাহায্য করতেন তাকে।

কিছুদিন পর….

তাকে(ভিক্ষুকটি) দৈনিক কাজ করার পর টাকা দিয়ে দিত,, একদিন সে বাবাকে এসে বলল আমার এসব কাজ ভাল লাগেনা। এর থেকে আমার আগেরটাই ভালো ছিল।।!
তার কথা শুনে বাবা পুরাই অবাক।
বাবা বললো ভিক্ষা করা একটা অন্য দৃষ্টি মূলক কাজ, যার জন্য তোমার অনেক মানুষের পা পযন্ত ধরতে হয়।
তোমার যদি কাজ করার ক্ষমতা না থাকতো তখন ভিক্ষা করলে পারতে।কিন্তু এখন তো তুমি সুস্থ মানুষ, ভিক্ষা করলে খারাপ দেখায় না?
এর থেকে ভালো তুমি পরিশ্রম করে চলা।
বাবা এত কিছু বলার পরও সেই শুনলো না কথা।
চলে গেল সেই ভিক্ষুক,আগেরটাই ভালো ছিল বলে।

কিছুদিন পর দেখা যায় আবার মানুষের হাত-পা ধরে ভিক্ষা করতে।
এরাই হল আমাদের দেশের ভিক্ষুক,,,,!
যাদের মধ্যে কেউ করে স্বভাবে, কেউ করে অভাবে।


লেখক পরিচিতি : নয়ন কান্তি দে , মেম্বার বাংলাদেশ পুলিশ , প্রাক্তন ছাত্র কক্সবাজার সিটি কলেজ, বর্তমান ছাত্র চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ(বিএসএস)