আলমগীর মাহমুদ


প্রজন্ম বেড়ে উঠার কালে প্রথম যেদিন পৃথিবীর নান্দনিক আবিষ্কার দূরদর্শনের সামনে বসে। দূরদর্শনের
নাটকে নাটকীয় পরিচয় ঘটে শুধু প্রেমে নয়,পরকীয়া প্রেমেও।বাংলা ছবির ডাইলগ হুনে ”সর্দার, দেহ পাবিতো মন পাবি না কইলাম!

দূরদর্শন হয়নি তার।চিন্তায় একগ্লাস হেমলক পান করিয়ে দিলাম।যে হেমলক সক্রেটিসকে মৃত্যুদন্ড কার্যকরে হয়েছিল ব্যবহার।”হেমলকের পেয়ালা হাতে, বিচারককে লক্ষ্য করে সক্রেটিসের শেষ উক্তি “I to die,you to live which is best only God knows”

সেই বিষাক্ত হেমলক প্রজন্মের চিন্তায় ঢেলে যাচ্ছি দিনের পর দিন। মৃত্যুকালে সক্রেটিসের মতো আমাদেরকেও সেই উক্তি স্মরণ করিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় রইবে না তাদের।

স্কুলে গিয়ে পাঠ্যক্রমে পড়া পায়..

হাটটিমা টিম টিম
তারা মাঠে পাড়ে ডিম
তাদের খাঁড়া দু’টি শিং
তারা হাটটিমা টিম টিম।..

রাস্তায় হেঁটে চলতে দোকানের বাজনায় শুনে..
”তোরা যে যাহ বলিস ভাই
আমার সোনার হরিণ চাই”

বাসে চড়তে গিয়ে শুনে..
তুমি যেই কলেজের ছাত্রী
আমি সেই কলেজের প্রফেসার ”

বেড়ে উঠার পরিবেশে তার কানে কোনদিনই লাগেনি ভূপেনের কণ্ঠে মানবতার সেই গানের কলি..

বিস্তীর্ণ ওপারে অসংখ্য মানুষের হাহাকার শুনি
অ.গঙ্গা তুমি বইছ কেন..!

একই কন্ঠে দেশভাবনায় যে কলি আসেনি ভেসে..
“বর্গীরা এখন দেয় না হানা
নেইকো জমিদার
তবুও কেন এদেশ জুড়ে
নিত্য হাহাকার!

প্রজন্ম বেড়ে উঠার পরিবেশে এই পাওন যদি হয় তার কপাললিখন কি বদলাবে বলুন! কি বদলাতে হবে সেতো বেমালূম ! বোধে নেই।বোধহীন বোধোদয় ঘটাবে কেমনে? তার এই দশায় আমি আপনি কি কম দায়ী?… ”আসুন নিজের বিচার করি! ”

লেখক ঃ বিভাগীয় প্রধান। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,উখিয়া কলেজ কক্সবাজার।
alamgir83Cox@Gmail.com