রফিক মাহমুদ,উখিয়া:
সরকারি উদ্যোগে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা গণনা শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিপিআই) জানিয়েছে কক্সবাজার জেলায় ১,১১৮,৫৭৮ জন রোহিঙ্গা বাস করছে। গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘের সহায়তায় রোহিঙ্গা পরিবারগুলো নিবন্ধনের কাজ করছে।

কক্সবাজার জেলার একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ২,৫৩৮টি রোহিঙ্গা পরিবারের ১১,৬৪৯ জন সদস্যের যৌথ যাচাই শেষ করেছি। এটা জটিল ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া কারণ এর জন্য যথাযথ ডকুমেন্টেশন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হচ্ছে।

দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান মোহাম্মদ হাবিবুল কবির চৌধুরী গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন যে সরকার ও জাতিসংঘ আগামী নভেম্বরের মধ্যে যৌথ নিবন্ধনের কাজটি শেষ করতে চায়।

তিনি আরো জানান যে তারা শিগগিরই ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করছেন এবং চলতি মাসের শেষ দিকে নেপিদোকে ১৫,০০০ রোহিঙ্গার একটি তালিকা পাঠানো হবে।

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বাংলাদেশ গত ফেব্রয়ারিতে মিয়ানমারকে ৮,০৩২ রোহিঙ্গা শরণার্থীর একটি তালিকা দিয়েছিলো। এদের মধ্য থেকে ২,৫০০ জনকে ফেরার অনুমতি দেয় মিয়ানমার।

তবে কেউই এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে ফিরে যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী মাসে বাংলাদেশ নেপিদোতে প্রতিনিধি দল পাঠাবে বলে জানা গেছে।

গত ২৬ জুন এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন জানায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের পরিচয় ও কাগজপত্র যাচাই করতে জাতিসংঘ সংস্থাটি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য সম্প্রতি দু দেশের সঙ্গেই চুক্তি সই করেছে জাতিসংঘ সংস্থা।