বিশেষ প্রতিবেদক:
জোটের বাইরে এককভাবে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়া পাঁচ মেয়রের মধ্যে তিনজন নিজের জামানতই হারিয়েছেন। শুধু তা নয়, জামানত হারানো এ তিন মেয়র প্রার্থী নিজেদের কেন্দ্রেও হেরে রেকর্ড করেছেন। এ তথ্য প্রচার পাবার পর পৌরসভাসহ জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন পাঁচ জন। মোট ভোটার ৮৩ হাজার ৭২৮ জনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৫৮ হাজার ১০৭ জন। প্রদত্ত ভোটের মাঝে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ৪১ হাজার ২৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ১৪৭ ভোট। জামায়াত সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র (বহিস্কৃত) সরওয়ার কামাল পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৬ ভোট, অপর দুই প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জাহেদুর রহমান ৫৯৫ ভোট এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী রুহুল আমিন সিকদার ৪৮০ ভোট পেয়েছেন। মেয়র প্রার্থীদের মাঝে মুজিবুর রহমান এবং রফিকুল ইসলাম ছাড়া বাকি ৩ জনই জামানত হারিয়েছেন।

জামায়াত সমর্থিত ‘নাগরিক কমিটির’ প্রার্থী সরওয়ার কামালের নিজের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট কেন্দ্রেও তিনি হেরেছেন। এ কেন্দ্রে ২ হাজার ২০৭ ভোটের মধ্যে প্রয়োগ হয়েছে ১ হাজার ৪৫৬। বাতিল ভোট ছিল ৯৮টি। সেখানে সরোয়ার পেয়েছেন ২৪৭ ভোট। তার চেয়ে বেশি ভোট (৩০৭ ভোট) পেয়েছেন বিএনপির রফিকুল ইসলাম। এ কেন্দ্রেও প্রথম হয়েছেন আওয়ামী লীগের মুজিবুর রহমান সরোয়ার (৭৭৩ ভোট)। সরওয়ারের মতো স্ব-স্ব কেন্দ্রে হেরেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জাহেদুর রহমান ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী রুহুল আমিন সিকদারও।

কক্সবাজার পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। জামানত হিসেবে মেয়র পদে ২৫ হাজার টাকা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫ হাজার টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। সে হিসাবে ৩ মেয়র প্রার্থী, ৫ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ৩২ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত হিসেবে মোট ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা সরকারের কোষাগার থেকে আর ফেরত দিতে হচ্ছে না।