ডেস্ক নিউজ:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যক্তি স্বার্থে রাজনীতি করলে দেশকে কিছুই দেয়া যায় না। জনকল্যাণে রাজনীতি করলে দেশকে অনেক কিছু দেয়া যায়। আওয়ামী লীগ তা প্রমাণ করেছে এবং দেখিয়েছে। এছাড়া টানা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন চোখে পড়ে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগঠনটির নেতারা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যাজ পরিয়ে দেন।

প্রথমে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে সাংগঠনিক নেত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতারা। এ সময় সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে অভিনন্দন জানান।

এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়া জেলে আছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এতিমের অর্থের লোভ সামলাতে পারে না তারা কীভাবে দেশ চালাবে। বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে দেশে ফিরেছি কারণ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভাত-ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়াই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। জনকল্যাণমুখী রাজনীতি ছাড়া ব্যক্তি স্বার্থের রাজনীতি দেশকে কিছু দিতে পারে না, তা ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলেও কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে কলেজ ছাত্রী কেউ রক্ষা পায়নি। তাই বিএনপি-জামায়ায়ের ওপর দেশের মানুষের আস্থা নেই, তা আজ প্রমাণিত। গ্রামের মানুষও শহরের নাগরিক সুবিধা পাবে।

এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগকে তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সংগঠন গড়ে তুলে জনগণের সেবা করার আহ্বান জানান তিনি।

পরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৪৮তম জন্মদিন আজ শুক্রবার (২৭ জুলাই)। মুক্তিযুদ্ধের সময় অবরুদ্ধ ঢাকায় ১৯৭১ সালের আজকের দিনে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির প্রথম সন্তান জয়ের জন্ম হয়। দেশ স্বাধীনের পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।