শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগাঁও মেহের ঘোনা রেঞ্জের কালির ছড়া বিটে নির্বিচারে পাহাড় নিধনযজ্ঞ
চালাচ্ছে তোফায়েল আহমদ প্রকাশ টুলু নামের এক ব্যক্তি। সে ৬নং ওয়ার্ডের ভুতিয়া পাড়া এলাকার ছৈয়দ আকবরের পুত্র বলে জানা গেছে।সংশ্লিষ্টদের নজরদারীর অভাবে পাহাড় কাটা থামছেনা।ফলে নির্বিচারে পাহাড় নিধনযজ্ঞ চলছে।সরেজমিন দেখা যায়, ভুতিয়া পাড়া এলাকার আবি তাহের মিয়ার বসত ঘরের পুর্বে পাশে তৈয়ব মিয়ার মোরা নামক পাহাড়টি কাটা হচ্ছে।প্রতিনিয়ত বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড় ধসে একাধিক দূর্ঘটনা ঘটলেও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরী হচ্ছেনা। অপরদিকে নির্বিচারে পাহাড় কাটা রোধে কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। পাহাড় কর্তনকারী টুলু ও তার ভাই নুরুল হুদার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল। জানা গেছে, টুলুর মালিকানাধীন ২টি ডাম্পার রয়েছে। এ ডাম্পার যোগে পুরো জেলায় মাটি সরবরাহ করে থাকে।তবে স্থানীয়রা পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপায় প্রাণহানির মত দূর্ঘটনার আশংকাও করছেন। সম্প্রতি বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন এলাকায় সমতল ভূমির আকাশচুম্বি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারনে আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিশাল অংশের পরিবেশগত উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া এবং নাফ-নদী দিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশসহ নানা কারনে পাহাড়ি ভূমিতে মানুষের বসবাসের প্রবণতা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ঘর তৈরীর লক্ষ্যে এসব কারনে বেড়েছে পাহাড় কাটার প্রতিযোগীতাও। বিগত দীর্ঘ সময় ধরে পাহাড় কাটার এই অশুভ প্রতিযোগিতা চলে আসলেও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁও কালির ছড়া ভুতিয়া পাড়ার
বিশাল পাহাড় বেষ্টিত গ্রাম গুলোতে। পাহাড়ি ভূমির বিশাল অংশ প্রতিমুহুর্তে অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। ঐসব এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপন হচ্ছে নানা বসতি।এছাড়াও কালির ছড়া বিটের বিভিন্ন স্থানে হরদম পাহাড় কাটা থেমে নেই। তদন্ত পূর্বক এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সচেতন মহলের মতে, এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলে পাহাড় একের পর এক সাবাড় হয়ে যাবে। যাতে করে পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। পাহাড় কর্তনকারী টুলুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।অপর একটি সূত্রে জানা গেছে তোফায়েল আহমদ টুলু স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খোলার সাহস করে না।কেউ প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।তার বিরুদ্ধে অস্ত্র,ডাকাতি, বন মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা ওয়ারেন্ট জারী রয়েছে।এ ব্যাপারে জানার জন্য মেহের ঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মামুন মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।অভিযুক্ত তোফায়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অফিস ম্যানেজ করে পাহাড় কাটে বলে জানায়।