রফিক মাহমুদ,উখিয়া:
টানা বৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক যোগাযোগ। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে মহাসড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোর এ সড়কে থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

কক্সবাজার বাস মিনিবাস গ্রুপের কর্মকর্তা আব্দুল কাইউম জুয়েল জানান, গত বুধবার রাত থেকে বাঁকখালী নদীতে প্রবল বন্যা নামলে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের চেইন্দা, বাংলাদেশ বেতারের কক্সবাজার কেন্দ্র গেইট, ও কাঁঠি রাস্তার মাথা পয়েন্টসহ কয়েকটি স্থানে প্রায় কয়েক কিলোমিটার সড়ক প্রায় কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়াও উখিয়া উপজেলার থাইংখালী ও বালুখালী পয়েন্টেও সড়কের উপর বন্যা ও পাহাড়ী ঢলের পানি উঠেছে। এতে সকাল থেকে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত থাকায় উভয় পার্শ্বে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে।

সবচেয়ে বেশি জনদুর্ভোগের শিকার হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত নারী এনজিও কর্মীরা। কয়েকজন নারী এনজিও কর্মী সকালে অভিযোগ করে বলেন, সড়কের উভয় পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়ার উপর স্থাপনা নির্মাণের করনে পানি চলাচলে রাস্তা বন্ধ হয়ে সড়কের উপর পাহাড়ী ঢলের পানি উঠে পড়েছে। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারন জনগণ।

এদিকে ভোর থেকে সাগরে অমাবস্যা তিথির প্রবল জোয়ার হওয়ায় বন্যার পানি নামতে পারছেনা বলে জানা গেছে । সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় শতশত যাত্রী গাড়ীতে আটকা পড়েছেন। মালবাহী ট্রাক আটকা পড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সররাহ করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ট্রাক ড্রাইভার হামিদ সিকদার জানান, টেকনাফ বন্দর থেকে লোড নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে চেইন্দা এসে ভোর থেকে বসে থাকতে হয়েছে। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার গরু আমদানীকারক আলী হোসেন জানান, আসন্ন কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে শাহপরীর দ্বীপ ক্যাটল করিডোরে মায়ানমার থেকে প্রচুর পশু আমদানী করা হচ্ছে। কিন্তু সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আমদানীকৃত পশু সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।