শাহেদ মিজান, সিবিএন:
প্রবাল বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা এ ভোটগ্রহণ চলে। এখন শুরু হয়েছে ভোট গণনার কাজ।

নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মুজিবুর রহমান, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও নাগরিক কমিটি মনোনিত বর্তমান মেয়র সরওয়ার কামাল। তবে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান, নৌকা প্রতীকে জোর করে সীল মারা, এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ এনে দুপুরের পর নির্বাচন বর্জন করেছেন বর্তমান মেয়র সরওয়ার কামাল এবং ১৯টি ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করে পুণনির্বাচনের দাবী জানিয়েছে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। সরওয়ার কামালও পুন: নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৩৯টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে। তবে অতি বৃষ্টির কারণে ভোটার উস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিলো। সকালের দিকে ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা বাড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে যায়। তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শেষ সময় ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।

অনিয়মের অভিযোগ এনে দুপুরের পর পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও নাগরিক কমিটি মনোনিত বর্তমান মেয়র সরওয়ার কামাল। তারা উভয়ই নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান, নৌকা প্রতীকে জোর করে সীল মারা, এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ এনেছেন। তাই পুন:নির্বাচন দাবি করেছেন। বিচ্ছিন্নভাবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রহুল আমিন সিকদারও একই অভিযোগ জানিয়ে পুন:নির্বাচন দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সকাল থেকে মেয়র প্রার্থীদের অভিযোগ পেয়ে আসছি। সে অনুসারে আমরা ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরও ছোট-খাটো কিছু ঘটনা ঘটেছে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শেষে অত্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোট গণনা করা হচ্ছে। আশা করি রাত নাগাদ শেষ হবে। গণনা শেষেই আমরা বিজয়ীদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবো।’