বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান, নৌকা প্রতীকে জোর করে সীল মারা, এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ এনেছে বিএনপি। ১৯টি ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করে পুণনির্বাচনের দাবী জানিয়েছে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম।
বুধবার (২৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব অভিযোগ অঅনে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
এতে দলীয় প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি আশা করেছিলাম কক্সবাজার পৌরবাসী একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। কিন্তু মানুষ তাদের সঠিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। সরকারী দলের প্রার্থীকে জেতাতে ভোট গ্রহণের শুরু থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়।
স্বশরীরে ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে দেখতে পাই, বেশ কিছু ভোটকেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ব্যালট পেপার ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান, নৌকা প্রতীকে জোর করে সীল মারা, এজেন্টদের বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষ করে ১ নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়া মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসা, ইসলামিয়া রিসার্চ সেন্টার, দক্ষিণ কুতুবদিয়া পাড়া ইসলামিয়া দারুসসুন্নাহ মাদরাসা, কুতুবদিয়া পাড়া মুক্তি স্কুল, ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর নুুনিয়ারছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহছুপি হযরত আলী হোসেন ফকির (র.) ছুন্নিয়া মাদরাসা, বিমান বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসায়ে তৈয়ব্যিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসা, ৩ নং ওয়ার্ডের ওমিদিয়া জামেয়া ইসলামিয়া, কস্তুরাঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫ নং ওয়ার্ডের কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসা, ৬ নং ওয়ার্ডের কক্সবাজার হার্ভার্ড কলেজ, ৭ নং ওয়ার্ডের কক্সবাজার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, আবু বক্কর ছিদ্দিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯ নং ওয়ার্ডের কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, ১০ নং ওয়ার্ডের কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যারেটরী উচ্চবিদ্যালয়, বাহারছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১ নং ওয়ার্ডের কক্সবাজার কেজি এন্ড মডেল হাই স্কুল, ১২ নং ওয়ার্ডের লাইট হাইজ দারুল উলুম মাদরাসা।
কেন্দ্রগুলো ছাড়াও ৩৯ ভোটকেন্দ্রের বাকি ২০টি ভোটকেন্দ্রে ১ টার পর থেকে ব্যালট পেপার না পাওয়ায় ভোটাররা উপস্থিত থাকলেও ভোট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম।
প্রেসব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী, পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোঃ আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন জিকু প্রমুখ।