সিবিএন:
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকায় সীল মারার অভিযোগ করেছেন নাগরিক কমিটির মেয়রপ্রার্থী সরওয়ার কামাল।
২৫ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি মুঠোফোনে সিবিএনকে অভিযোগ করেছেন, সকাল থেকে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে সরকার দলীয় প্রভাবশালীরা ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় সীল মারে। অনেক ভোটারকে মেয়রের ব্যালট বাদে দুইটি ব্যালট পেপার দেয়া হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রের খুব ভয়াবহ অবস্থা।
তিনি অভিযোগ করেন, ১ নং, ২ নং ওয়ার্ডের সবকেন্দ্র, ৭ নং ওয়ার্ডের এবিসি ঘোনা কেন্দ্র, ৫ নং ওয়ার্ডের হাশেমিয়া মাদরাসা কেন্দ্র, ৮ নং ওয়ার্ডের বল্যাপাড়া কেন্দ্র, ১২ নং ওয়ার্ডের কলাতলী কেন্দ্র, ৬ নং ওয়ার্ডের সিকদারপাড়া কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ব্যালট ছিনতাই করে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়া হয়েছে। সব কেন্দ্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-ছাত্র লীগ নেতারা এসব করছে। কেন্দ্রগুলোর আশপাশে প্রচুর পরিমাণ বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে।

৩ নং ওয়ার্ডের নুরপাড়া কেন্দ্রে এক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ, ভোটারদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি ও জাল ভোট প্রদানের অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলরপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম মুকুল।
তিনি বলেন, জীবনে অনেক নির্বাচন দেখেছি, কিন্তু এভাবে কেন্দ্র দখলের মহোৎসব আর দেখিনি। নির্বাচনে নিয়োজিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। সরকারী দলের কাছে অনেকে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি এর প্রতিকার চাই।
নির্বাচনকালীন দায়িত্বে রয়েছে, ২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর ৬টি টহলদল এবং প্রত্যেক কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৪ জন পুলিশ। প্রতি দুইটি কেন্দ্রে জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স।
এছাড়াও আমর্ড পুলিশ ও আনসার বাহিনীসহ সব মিলে প্রায় এক হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন।