সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও:
মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। অতিভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও পাহাড়ি জনপদে পাহাড় ধসেরও শঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দরা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম মধ্য প্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন উত্তর প্রদেশে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। এছাড়া অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

টানা কয়েক দিনের গরমের পর বর্ষার চিরায়ত বৃষ্টি নামলেও অস্বস্থি কমেনি ঈদগাঁওবাসীর। গত সোমবার থেকে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজট।

এমন টানা বৃষ্টি আরো চার পাঁচ দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। ফলে গরমের থেকে নিস্তার মিললেও ঈদগাঁওবাসীকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হবে এ কদিন।

মঙ্গলবার ভোর থেকেই কখনো মাঝারি কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে ঈদগাঁওয়ে। অনেকে শ্রাবণের এ বৃষ্টিকে উপভোগ করলেও অধিকাংশ মানুষের কাছেই তা ভোগান্তির। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে জলজট ও যানজট দেখা দিয়েছে। জুতা হাতে হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে অনেককে হেঁটে হেঁটে গন্তব্য পানে রওনা হতে দেখা গেছে। মধ্যরাতের বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই পানি জমেছে ডিসি সড়ক, কাচা বাজার, কাপড়ের গলি, মসজিদ গলি, হাসপাতাল সড়ক, বাঁশঘাটা রোড়, জাগিরপাড়া আবাসিক এলাকা ও বঙিক বাজার তেলি পাড়ার বিভিন্ন সড়কে।

সরজমিন দেখা গেছে, বাজারের ডিসি সড়ক, জাগির পাড়া সড়ক, তেলি পাড়া, সওদাগর পাড়া সড়ক, বাঁশঘাটা সড়ক, আলমাছিয়া সড়কে হাটু পানি জমেছে। এ ছাড়াও পালপাড়া, ভাদিতলা দরগাহ পাড়া সড়ক ও মাইজ পাড়া সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে ডিসি সড়কে জলজটের কারণে যানজটের পড়েছে বাজারবাসী। যার কারনে একাধিক সড়কে প্রচন্ড যানজট দেখা গেছে। বিভিন্ন সড়কে কমপক্ষে ১৫ মিনিট থেকে ঘণ্টা পর্যন্ত বসে থাকতে হচ্ছে স্কুলগামীদের। বৃষ্টিতে ডিসি সড়কে রিকশা চলাচল কম থাকায় অনেকেই পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ ভোগান্তি বেশি পোহাচ্ছেন। তাদের অনেককেই কাকভেজা হয়ে বাসায় ফিরতে দেখা গেছে।