সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

অঝর বৃষ্টি আর স্যাঁতস্যাঁতে কাদা কোনভাবেই থামাতে পারেনি নৌকার গণমিছিল এবং হাজারো জনতার উচ্ছ্বাস-ভালবাসা। শহরজুড়ে এ যেন অন্য এক পরিবেশ। সবখানেই শুধু নৌকার শ্লোগান, গণজাগরন। ততক্ষনে পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। অবশেষে ভেজা কাপড়ে মঞ্চে এসে দাঁড়ালেন ক্লান্ত মুজিবুর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন।

সালাম দিয়ে বললেন, “আমি আপনাদেরই সন্তান, আপনাদের ভাই, ঘরের ছেলে হিসেবে সবার দোয়া চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌরবাসীর সেবা করার জন্য আমাকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিয়েছেন। ২৫ জুলাই সেই নৌকায় ভোট দিয়ে অন্তত: একটিবার অসহায় দু:খী মানুষের সেবা করার সুযোগ দিন।” কথা দিচ্ছি-“মেয়রের দায়িত্ব পেলে ব্যাপক উন্নয়নে কক্সবাজারকে ঢেলে সাজাবো, এটি হবে বিশে^র অন্যতম আকর্ষনীয় পরিচ্ছন্ন একটি পর্যটন নগরী। পাশাপাশি শিক্ষাখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে অনুন্নত সড়ক, উপ-সড়কগুলো সংস্কার, জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনসহ একটি পরিকল্পিত আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তর করবো কক্সবাজারকে। আমার শাসনামলে নিজে কোন ধরনের অনিয়ম-দুর্ণীতি করবোনা, দুর্ণীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ও দিবোনা, এই ওয়াদা দিচ্ছি হাজারো জনতার সামনে।”

এর আগে বিকেল ৪টা থেকে বৃষ্টির চোখ রাঙ্গানিকে উপেক্ষা করে শেষ নির্বাচনী সমাবেশে উপস্থিত হন হাজারো মানুষ। কানায় কানায় ভরে উঠে শহীদ দৌলত ময়দান। এসময় মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদ, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রশান্ত ভুষন বড়–য়া, জেলা আ’লীগ নেতা ইউনুছ বাঙ্গালী, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি উজ্জ্বল কর, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েল ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোরশেদ হোসাইন তানিম গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

এসময় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।