প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘নির্বাচন ঘিরে আইনশৃংখলা বাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে যে আচরণ শুরু করেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ধানের শীষের প্রতীকের প্রচারণা চালানোর সময় অহেতুক আমাদের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশীর নামে হয়রানি করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে যুবদল-ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর লোকজন। গণগ্রেফতারের ভয়ে নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারছেনা। আতংক ছড়িয়ে পড়েছে সবার মাঝে। এ ধরনের অনাকাঙ্খিত আচরণ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে বিঘিœত করছে। নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠ হবে কিনাÑতা নিয়ে আমাদের যথেষ্ঠ সংশয় রয়েছে। এ সংশয়, ভয়, আতংক দূর করার দায়িত্ব প্রশাসনের। আমরা তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। যদিও এখন পর্যন্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। সম্প্রতি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলাটির মাধ্যমে আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়।  সোমবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গরীব প্রার্থী। মানুষকে চা খাওয়ানোর পয়সা নেই। শুনতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগের লোকজন আমাকে ফাঁসাতে একটি নাটক সাজিয়েছে। যেকোন সময় সেই নাটক মঞ্চস্থ করা হতে পারে। তারা একজন লোককে টাকার বস্তা দিয়ে ভোটারদের কাছে পাঠাবে। তারপর পুলিশ ডেকে তাকে ধরিয়ে দেওয়া হবে। পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে সেই লোক বলবে, সে বিএনপির প্রার্থীর টাকা ভোটারদের দিতে গেছে। ওই দৃশ্যের ভিডিও করে অনলাইনে ভাইরাল করে দেওয়া হবে।’ তিনি দাবী করেন, নির্বাচনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে নারায়ানগঞ্জের একজন বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতার অনুগত ২০ জন সন্ত্রাসীকে কক্সবাজারে আনা হয়েছে। তারা বর্তমানে কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, ‘নম্বর ওয়ার্ডে আমরা কোন এজেন্ট পাচ্ছি না। তাদের জীবন নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য এজেন্টদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশী চালানো হচ্ছে। আমরা বাইরে থেকে সেখানে এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছি।’
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউছুপ বদরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনএপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল। এসময় তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার পৌরসভায় ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ জোয়ার নস্যাৎ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রচারণাকালে নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশী চালানো হচ্ছে। আমারা নেতাকর্মীদের বলেছি, মামলা হবে, জেল-জুলুম হবে। কিন্তু আমরা মাঠ ছেড়ে যাবো না। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো।’
এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, সদর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মাবুদ, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন জিকু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোহাম্মদ আলী, জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বলসহ অনেকেই।