শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদরের উপকুলীয় ইউনিয়ন পোকখালীর গোমাতলীতে লবন লুটের ঘটনা ঘটেছে।পুলিশের তাৎক্ষনিক অভিযানে পাচার করতে পারেনি লবন গুলো।এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।২৩ জুলাই বিকাল ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বর্ণিত এলাকার নেচার মেম্বারের ঘাটে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়,পশ্চিম গোমাতলী এলাকার রমজান আলী গং এর প্রচুর পরিমান লবন “মাঝের ঘোনা”নামক একটি চিংড়ি প্রজেক্টে মজুদ করে রাখছিল।লবনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয়  নাজীর আলীর পুত্র মোহাম্মদ আবদুল্লাহ , লেদু মিয়া প্রকাশ ডাকাত লেদু,বেদু মিয়া,মনছুর আলমসহ আরো ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত সকাল থেকে লবন গুলো বোটে বোঝাই করছিল। জনসংখ্যা বিহীন এবং চিংড়ী প্রজেক্ট এলাকায় পানি ভতি হওয়ায় বিষয়টি কারো চোখে পড়েনি। লবন গুলো নিজেদের মত করে বোঝাই করছিল তা সহজে কেউ বুঝতে পারেনি।
বিকাল ৩ টার দিকে স্থানীয় চিংড়ি প্রজেক্টের শ্রমিকরা জানতে পারে যে লবন গুলো তাদের নয়। প্রকৃত লবন মালিককে বিষয়টি জানালে তারা তাৎক্ষনিক ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে অবহিত করেন। পরে ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়ার নির্দেশে এএসআই নিজাম উদ্দীনসহ সঙ্গীয় ফোর্স  ঘটনাস্থলে পৌছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সহকারী উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দীন জানায়, ঘটনাস্থলে আমরা এখনো রয়েছি,প্রায় ৫শ মন লবনসহ বোটটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য,মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও তার ভাই লেদু মিয়া প্রকাশ ডাকাত লেদুর নেতৃত্বে পশ্চিম গোমাতলী ও মহেশখালীর সাগর মোহনায় একটি বাহিনী রয়েছে। তাদের নেতৃত্ব চলে সাগরে জলদস্যুতা,প্রজেক্ট ডাকাতি,দখল বানিজ্যসহ হরেক রকম অপরাধ। যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করতেও পারছে না।তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি,অস্ত্র,হত্যা ও ইয়াবা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।