নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:

পেকুয়ায় লোহা চুরির অভিযোগ তুলে আব্দুল মোকাদ্দেস নামের এক অটোরিকশা চালককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছেন টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।

রোববার (২২জুলাই) সকালে টইটং বাজার এলাকার চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নির্যাতনের শিকার যুবক একই ইউনিয়নের আলেকদিয়া কাটা এলাকার হোসাইন আলীর ছেলে।

নির্যাতিত আব্দুল মোকাদ্দেস বলেন, চেয়ারম্যানের কথা বলে গভীর রাতে আলেকদিয়া পাড়া এলাকার আব্দু সালামের ছেলে মাদু আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সারারাত চেয়ারম্যানের বাড়িতে আটকে রাখার পর লোহা চুরির অভিযোগে পরেরদিন সকালে চেয়ারম্যান জাহেদ আমাকে বেধড়ক পিটানো শুরু করে। লাঠি-বেত ও হাতুড়ির উপর্যুপরি আঘাতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। মারধরের সময় সোনাইয়া কাটা এলাকার মাহমুদের ছেলে কায়সার ও শমশু আলমের ছেলে বাদশাহ আমার হাত-পা আটকে রাখে।

নির্যাতিতের মা শাকেরা বেগম বলেন, আমার নির্দোষ ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ। একইভাবে অনেক নিরহ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন এই চেয়ারম্যান। কিন্তু প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।

তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে যদি অপরাধ করে, তবে তার জন্য দেশে আইন আদালত রয়েছে। তাকে আইনের হাতে সোপর্দ না করে, কেন এভাবে নির্যাতন চালানো হল ? আমার ছেলের উপর চালানো নেক্কারজনক এ নির্যাতনের আমি বিচার চাই।

নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।