নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার পৌর নির্বাচনের নাগরিক কমিটি মনোনিত মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র (বরখাস্ত) সওয়ার কামাল অভিযোগ করেছেন, জনগণের প্রতি আস্থা না থাকায় পরাজয়ের ভয়ে দিশেহারা হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তাই নীলনকশার মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করার জন্য আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদেরকে গ্রেফতার ও এলাকাছাড়া করেছে।

নেতাকর্মীদের ধরপাকড় প্রতিবাদে ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষ্যে  সোমবার (২২ জুলাই) বিকালে নিজের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। এসময় তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়াসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সরওয়ার কামাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুর রহমান পরাজয়ের আশঙ্কায় ভোট ডাকাতি করার জন্য নীলনকশার পরিকল্পনা করেছে। তারই অংশ হিসেবে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা করেছে। আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা বাধা ও সমর্থকদের হয়রানি করছে। পুলিশ ও ডিবি দিয়ে নির্বিচারে ধরপাকড় চালাচ্ছে। আমাদের এজেন্টদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়; নীলনকশার বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের এনেছে। তারা ভোট ডাকাতি করে কক্সবাজারের শান্ত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘ভোট ডাকাতি হলে কক্সবাজারের মানুষ তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। তা করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। কক্সবাজারে লাগাতার হরতাল দেয়া হবে। রাজপথে নেমে আসবে কক্সবাজারের আপামর জনসাধরণ। এতে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এই পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব তাদেরকে নিতে হবে।’

মেয়র সরওয়ার কামাল বলেন, ‘আমরা চাই না কক্সবাজারের শান্ত পরিস্থিতি নষ্ট হোক। এতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে অবস্থান তিনহাজার বিদেশী ও বহির্বিশ্বে কক্সবাজারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারী দলের লোকজন আমাদের উপর অত্যাচার চালালেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেবে না। কারণ পুলিশ সরকারের পেটুয়া বাহিনী। তাই সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভোট সম্পন্নের জন্য আমরা সেনা মোতায়েন চাই। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর প্রতি সকল জনগণের প্রগাঢ় আস্থা রয়েছে। তাই নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমি সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’ তারপরও পুলিশকে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে পরিবেশ শান্ত রাখার আহ্বান জানান।’

সরওয়ার কামাল অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুর রহমান বিভিন্ন উপজেলা থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী এনে কক্সবাজারে জড়ো করছে। এসব সন্ত্রাসীরা এখন ১নং ও ২নং ওয়ার্ড ও পেশকার পাড়ায় অবস্থা করছে। তাদের করা হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র। অবস্থান এসব বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আবারো আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সরওয়ার কামাল বলেন, ‘ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চরমভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। তিনি একশটির বেশি নির্বাচনী অফিস স্থাপন করেছেন। জীবন্ত নৌকা পথে এনেছেন।’

পরে তিনি কক্সবাজার পৌরসভার উন্নয়নে তার অবদান ও আগামীতে সুন্দর পৌরসভা গড়ায় ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন।