তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম :

রড প্রস্তুতকারী শিল্প গ্রুপ কেএসআরএম লিমিটেডের জায়গা নিয়ে একটি মহল দীর্ঘদিন থেকে একের পর এক অপপ্রচার চালাচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়া স্থানীয় কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ব্যবহার করে মহলটি ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মূলতঃ কেএসআরএমের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি তারা ওই জায়গার কিছু অংশ অবৈধ দখলে নিতে নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

এ প্রসঙ্গে কেএসআরএম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার শাখওয়াত হোসাইন বলেন, আমরা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সীতাকুন্ডের বাড়বকুন্ড এলাকায় আনোয়ারা জুট মিলের দুই দফায় ৪৫ দশমিক ৮৮ একর জায়গা কিনেছি উচ্চ আদালতের নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে। এতে আমাদের ব্যয় হয়েছে ১১৬ কোটির অধিক টাকা। সেই ধারাবাহিকতায় জমির খাজনা পরিশোধসহ যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখল হস্তান্তরের মাধ্যমে ওই জায়গা আমাদের দখলে আছে। বর্তমানে সেখানে নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান। কিন্তু বাউন্ডারি ওয়াল (সীমানা দেয়াল) দেওয়ার সময় চিহ্নিত ওই মহলের ইন্ধনে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বিভিন্নভাবে আমাদের জায়গা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে এবং পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবে তা দখলে নিতে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এসব আমাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছুই নয়। এ বিষয়ে কার কি উদ্দেশ্য রয়েছে তা ইতিমধ্যে প্রশাসন ও ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে।

এদিকে গত ১২ জুলাই এসব সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রাতের আঁধারে কেএসআরএম লিমিটেডের নির্মাণাধীন সীমানা দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙ্গে দিয়েছে। বিষয়টি কেএসআরএমের পক্ষ থেকে সীতাকুন্ড থানাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে জানানো হয়। সেই থেকে এখনো সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলমান আছে।

যোগাযোগ করা হলে সীতাকুন্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান বলেন, স্থানীয় কিছু লোক পূর্বেও আনোয়ারা জুট মিলের অরক্ষিত জায়গায় অবাধে যাতায়াত করতো। শিল্প গ্রুপ কেএসআরএম লিমিটেড ওই জায়গা কিনে নিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করলে তাদের সেখানে অবাধ চলাচলে বিঘœ ঘটে। এ নিয়ে একটি পক্ষ কেএসআরএমের বিরুদ্ধাচরণে নেমেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবু আমরা শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কায় উভয় পক্ষকে সতর্ক করেছি। পাশাপাশি বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওসি ইফতেখার হাসান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদাকুল্লাহ বলেন, আনোয়ারা জুট মিলের ওই জায়গাটি কেএসআরএম শিল্প গ্রæপ কিনে নিয়েছেন কয়েক বছর আগে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাছ করছে। কিন্তু এলাকার কেউ কেউ সেখানে চলাচলের পথ রাখার দাবি করছেন। কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কেয়া জায়গায় দেয়াল দিচ্ছে বলে জানিয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে এখন জটিলতার কিছু আছে বলে মনে হয় না।