শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদরের ২নং পোকখালী ইউনিয়নে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোর সিন্ডিকেট। সদ্য জেল পেরত কয়েকজন চোরের দল প্রতিনিয়ত কোন না কোন স্থানে হানা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।আতংকিত হয়ে পড়ছে ইউনিয়নের হাজার হাজার গৃহস্থ ও ব্যবসায়ী সমাজ।রাতের বেলায় পুলিশি টহল না থাকায় চোর সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের।

তারা জানান, ইউনিয়নের পুর্ব পোক খালী ও পশ্চিম ইছাখালী এলাকার বিভিন্ন অপকর্মের হোতা, খুনসহ ডাকাতি, অস্ত্র মামলার সদ্য জেল পেরত এক চোরের নেতৃত্বে আরো ৬/৭ জনের একটি সিন্ডিকেট বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে চুরি,ডাকাতি সংগঠিত করে যাচ্ছে। তাদের এহেন কর্মকার্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক জনগন।তারই ধারাবাহিকতায় ২১জুলাই গভীর রাতে পোকখালী মুসলিম বাজারে রফিক ষ্টোরে নামের একটি মুদির দোকানের মিনি জানালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে নগদ টাকাসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

দোকান মালিক রফিক উদ্দীন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় জুমাবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়।সকালে দোকান খুলে দেখতে পায় উপরের দেওয়ালের মিনি জানালা ভেঙ্গে চোর প্রবেশ করে সিগারেট, নগদ টাকা অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ৭০হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

তিনি বিষয়টি তাৎক্ষনিক মুসলিম বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দীনকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে অবহিত করে।পরে তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই শাহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এদিকে প্রতিনিয়ত দোকান চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংজ বিরাজ করছে।

বাজার সেক্রেটারি বেলাল উদ্দীন সিবিএনকে জানায়, চুরি ঠেকাতে তারা আজ জরুরী মিটিং ডেকেছে।মিটিং এ পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবে।এবং বাজারের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানায় তিনি।

এসআই শাহাজ উদ্দীন চুরির ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, চুরি ঠেকাতে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে যাবে।এ কাজে যারা জড়িত সন্দেহজনক  চোরদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।