নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে কিনা- তা নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন জেলা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক ও লাঙ্গল প্রতীকে মেয়রপ্রার্থী রুহুল আমিন সিকদার।
তিনি বলেন, চেয়ারের চেয়ে মানুষের রক্তের দাম অনেক বেশী। ক্ষমতার জন্য কারো রক্ত ঝরুক, মায়ের বুক খালি হোক- তা আমি চাইনা। ভোটের আকাশে শকুনি থাবা দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নস্যাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র। ভোটের অন্তত ৪৮ ঘন্টা আগে সকল ভোটকেন্দ্রের আশ পাশে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হবে।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র প্রভাবমুক্ত রাখতে সিসি ক্যামেরা ও নির্বাচনী এলাকায় সেনা মোতায়েন করতে হবে। এসব দাবী না মানলে জনগণের স্বার্থে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আশংকার কথাটি জানিয়েছেন বিরোধী দলের এই মেয়রপ্রার্থী। কক্সবাজার শহরের আলীর জাঁহালস্থ প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
রুহুল আমিন সিকদার আশংকা প্রকাশ করে বলেন, ২৫টি ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করবে সরকারী দলের নৌকার প্রার্থী। ইতোমধ্যে তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতি তৈরী হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন সিকদার ২০ দফা দাবী সম্বলিত নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেন।
এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে শংকা দেখা দিচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দেয়া হচ্ছে। ঘরে ঘরে পুলিশ গিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। সরকার দলীয় প্রার্থীর প্রভাবে সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে ওঠেছে। এমন অবস্থায় জনগণের ভোটাধিকারের সুষ্ঠু প্রতিফলন ঘটবে কিনা তা নিয়ে শংকা পৌরবাসীর।
পৌর নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মো. তারেক। তিনি বলেন, সরকার চাইলে সুষ্ঠু ভোটের আয়োজন করতে পারে। সব কিছুই তাদের সদিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। আমরা চাই কক্সবাজারে একটি প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা জাপার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোটেক রুহুল কাদের শিলু, সায়মুন সংসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির চেয়ারম্যান প্রভাষক নুরুল আবছার সিকদার, সায়মুন সংসদের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ভুট্টু, ওলামা পার্টির জেলা সভাপতি মাওলানা শফিউল্লাহ জিহাদী, সায়মুন সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুশ শুক্কুর, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিয়াবুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পৌরসভা নির্বাচনে ৫ মেয়র পদপ্রার্থীসহ মোট প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ৮৬ জন। ১২ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। ১২ ওয়ার্ডে মোট ভোটকেন্দ্র সংখ্যা ৩৯ টি।