ফিচার ডেস্ক:
জীবনে উন্নতির জন্য আমরা কত কিছুই না করি। সৎ কিংবা অসৎ- যে কোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করি। রাত-দিন খেটেখুটে মাস শেষে উন্নতির তলানি শূন্য। হতাশায় ঘিরে থাকে চারপাশ। আর্থিক ক্ষতি যেন এগোতেই দেয় না। কিন্তু আমরা কখনোই এর কারণ খুঁজি না। আসুন বাস্তুমতে কিছু কারণ জেনে নিতে পারি-

বাস্তু মতে দক্ষিণ, উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম দিক হলো অর্থ আগমনের দিক। ঘরের এই কোণগুলোতে কোনো ত্রুটি থাকলেই সমস্যা হতে পারে। তাই ঘরের কোন দোষগুলো আপনার উন্নতিতে বাধা হয়ে উঠতে পারে, তা নির্দারণ করা সবার জন্য জরুরি।

প্রায় সব পরিবারেই মুরুব্বি আছেন। কারো কারো ঘরে না-ও থাকতে পারেন। যদি থাকেন, তাহলে তাদের জন্য অবশ্যই আলাদা ঘরের প্রয়োজন হয়। বাড়ির এসব বর্ষীয়ান সদস্যের ঘর নির্বাচনে একটু খেয়াল রাখতে হবে। তার ঘরটি যেন দক্ষিণ-পূর্ব দিকে না হয়। তাহলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে।

সব ঘরেই তো আসবাবপত্র থাকে। আসবাবপত্র ছাড়া সংসার কল্পনাও করা যায় না। আর ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি। তাই বলা হচ্ছে- ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে কোনও ভারী আসবাবপত্র থাকলে উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়া উত্তর-পূর্ব দিকের জায়গাটা নোংরা থাকলে অার্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘরের প্রাণ হচ্ছে দরজা। ঘর থেকে বের হতে একাধিক দরজারও প্রয়োজন হয়। তবে সেই দরজা দক্ষিণ দিকে না হওয়াই ভালো। এছাড়া উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ঘরে সিন্দুকের প্রচলন যুগ যুগ ধরে। এই সিন্দুকও দক্ষিণ দিকে রাখা উচিত নয়। রাখলে নাকি অর্থের আগমন ঘটে না।

ঘরের উত্তর-পশ্চিম দিকে সব সময় আলো জ্বেলে রাখা উচিত। বাস্তুমতে, ওই স্থানে অন্ধকার থাকলে নাকি অর্থ সঞ্চয় হয় না। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে, ওই স্থান যেন সব সময় আলোকিত থাকে। বিশেষ করে রাতের বেলায় ডিম লাইট জ্বালাতে পারেন।

সংসারের গুরুত্বপূর্ণ স্থান তো রান্নাঘর। রান্নাঘর নেই এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে এই রান্নাঘর যদি উত্তর-পূর্ব দিকে হয়, তাহলেও বিপত্তি ঘটতে পারে। এতেও নাকি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই রান্নাঘর স্থাপনের সময় অবশ্যই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।