মুহাম্মাদ হোসাইন:
আসন্ন কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থী নিজেদের প্রতীক সর্বসাধারণের মাঝে প্রচারার্থে শহরের মাইক সার্ভিসের দোকানে মাইকিংয়ের জন্য সকাল থেকে সিরিয়াল দিয়ে রাখছেন। গত কয়েকদিন ধরে দেখা যায়, সকালবেলা কক্সবাজার মাইক সার্ভিসের পাশে মাইকগুলো সিটিংরুলে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রাখা হয়। স্ব-স্ব প্রার্থীর প্রতিনিধি এসে আগ-থেকে বরাদ্ধ রাখা মাইক সিএনজিতে সেট করে মাইকিং শুরু হয়।
বার্মিজ মার্কেটের ব্যাবসায়ী লুৎফুর রহমান বলেন, বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক প্রচার প্রসার থাকলেও বাংলাদেশের লোকচিত্রে ভোটসহ নানাবিধ জমকালো আয়োজনে মাইকের ব্যবহার কোনভাবে কদর কমবেনা বরং মাইকের আধুনিকায়ন হয়ে ব্যবহার হবে। তিনি আরো বলেন, আসলে ইলেকশনে মাইকের ব্যবহার না হলে নির্বাচনী পরিবেশ পরিলক্ষিত হয় না।
এক প্রার্থীর মাইকিংকারী মেসবাহ বলেন, ভোটের নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে ২৩ তারিখ অবধি সন্ধ্যানাগাদ আমার সাথে কন্টাক। এরমধ্যে সকাল বিকাল প্রচার প্রচারণায় মাইক সার্ভিসের মাইক নিয়ে ব্যস্ত আছি। আগে থেকে যারা সিরিয়াল দিয়ে রেখেছেন তারা ভালো সার্ভিস পাচ্ছেন মাইক নিয়ে। তবে ভোটাররা মাইকের শব্দ দূষণের প্রতি বিরক্তিকর মনোভাব প্রকাশ করেন।
পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার মুজাম্মেল হক মুজিব বলেন, মাইকের অবাধ ব্যবহারে যে পরিমাণ মামুষের শব্দ বিড়ম্বনা হচ্ছে তা এই পর্যটন শহরে নীতিমালার আওতায় আনা দরকার কারণ যেভাবে স্বাভাবিক জীবনের ক্ষেত্রে শব্দ দূষণ তা প্রত্যাহিক কাজে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রচারের উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলের কাছে প্রতীকটি প্রকাশ করা। সেক্ষেত্রে সামাজিক মাধ্যমে যেভাবে প্রচার-প্রসারতা পাচ্ছে তাই যথেষ্ট।
৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী (ব্ল্যাকবোর্ড মার্কার) জুনায়েদ আহমদ বলেন, আমি নিজেও শব্দ দূষণে যে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তার প্রতি লক্ষ্য রেখে খুব অল্পসময়ের জন্য একটা গাড়ি দিয়েছি তাও আবার বিকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন হাউস ক্যাম্পেইন করে নিজের মার্কার প্রচারণার কাজ করে যাচ্ছি। আশাকরি এরমধ্যে সবার নিকট মার্কার প্রচার করতে সক্ষম হবো।